নিজেস্ব প্রতিনিধি : প্রতিবন্ধীর আধার কার্ডে গড়িমসি। আদালতে তিরস্কারের মুখে কেন্দ্র। বিচারপতির নির্দেশ এমাসের ১৩ তারিখের মধ্যে এনিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে। আর তাতেই কিছুটা স্বস্তিতে বেহালার মৈত্র পরিবার। আশা, এবার অন্তত ছেলের আধার কার্ড করানো যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সনত্ মৈত্র। বার্থ সার্টিফিকেট হিসেবে বয়স ২৬। শুধু বয়সই বেড়েছে। পাল্লা দিতে পারেনি শরীর ও মন। কারণ সনত্ সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত। আর তার প্রভাবেই আজ সে বছর ১০-এর শিশুর সমতুল্য। কিন্তু, সরকার তা মানবে কেন? নির্দেশ আধার চাই। অতয়েব ছেলেকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বাবা ও মা।


আরও পড়ুন- সাসপেন্ড করা হল পুলিসকর্তা এসএমএইচ মির্জাকে


দৃষ্টি নেই। হাত পা অসাড়। শরীরের ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। বার বার চেষ্টা করেও ছেলের আধার কার্ড করাতে পারেননি কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সমর মৈত্র। এদিকে, মোবাইলে প্রতিদিনই মিলছে অ্যালার্ট। আধার লিঙ্ক করানো না গেলে ইনভ্যালিড হয়ে যাবে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট। নিরুপায় বাবা-মা দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের।


এবার আদালতে তিরস্কারের সামনে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলাটি ওঠে। পুরো বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে চরম তিরস্কার করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ''কেন্দ্র সকলকে বলেছে মার্চের মধ্যে আধার লিঙ্ক করাতে। অথচ,কেন্দ্র নিজেই সেটা মানছে না। আদালতকে কেন এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে? আমি যদি বলি আগামিকালই আধারের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আসুন আপনারা কী করবেন?''


বিচারপতির নির্দেশ ১৩ নভেম্বরের মধ্যে এনিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে। আদালতের নির্দেশে কিছুটা স্বস্তি মিললেও এখনই নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বেহালার মৈত্র পরিবার।