নিজস্ব প্রতিবেদন : দ্রুত ডিএ মামলার নিষ্পত্তি চায় হাইকোর্ট। ফলে আদালতে খারিজ হয়ে গেল রাজ্য সরকারের আর্জি। রাজ্য সরকার চেয়েছিল গ্রীষ্মের ছুটির পরই ফের মামলাটির শুনানি হোক। কিন্তু রাজ্যের আর্জিতে কর্ণপাত করেনি আদালত। ১৭ মে-র মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির সময়সীমা ধার্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাইকোর্টে ৭০ দিন ধরে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছিল। ফলে এতদিন ধরে আটকে ছিল ডিএ মামলার শুনানি। গত সোমবার থেকে হাইকোর্টে আইনজীবীরা ফের কাজ শুরু করেন। এরপরই এদিন হাইকোর্টে ডিএ মামলাটি ওঠে।


বহুদিন ধরেই অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ডিএ মামলাটি। মামলাটির দ্রুত মীমাংসা চেয়ে এদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের সংগঠন 'কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ'। যার প্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দেয় আগামী ৮, ১০, ১৫ ও ১৭ মে ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে। ১৭ মে-র মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে ডিএ মামলার।


আরও পড়ুন, ভুয়ো তথ্য পেশের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষকে শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি দেখাতে বলল হাইকোর্ট


যদিও, রাজ্য সরকার চেয়েছিল গ্রীষ্মের ছুটির পরই ফের ডিএ মামলার শুনানি হোক। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, এই মুহূর্তে হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক মামলা চলছে। তাই ডিএ মামলা গ্রীষ্মের ছুটির পরই শোনার জন্য আর্জি জানান তিনি। কিন্তু রাজ্য সরকারের শুনানি পিছনোর আর্জি নাকচ করে দেয় বিচারপতি দেবাশিষ করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ।


আরও পড়ুন, নতুন জটে পঞ্চায়েত; দিতে হবে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, একজনকে সরকারি চাকরি


উল্লেখ্য, রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া রয়েছে। অথচ স্টেট আডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) রায় দিয়েছে, "মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) হল রাজ্য সরকারের দয়ার দান।" স্যাটের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সরকারী কর্মচারীদের সংগঠন মামলা করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।