ওয়েব ডেস্ক: অতিবৃষ্টির ভোগান্তি কলকাতাতেও। মুরারিপুকুরে ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ির একাংশ। উল্টোডাঙায় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১ জনের। বিভিন্ন জায়গায়  জমে যায় জল। তবে পুরকর্মীদের তত্পরতায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু জায়গায় জল নামতে শুরু করে। ঘূর্ণাবর্ত পরিণত হয়েছে নিম্নচাপে। এর জেরে টানা বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে ভারী বৃষ্টি কলকাতাতেও। টানা বৃষ্টিতে একসময়  জল জমে যায় মহাত্মা গান্ধী রোড, ঠনঠনিয়া, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ, আলিপুর বডিগার্ড লাইন, সায়েন্স সিটি, গোবিন্দ খুটিক রোড, কুলিন খুটিক রোড, দমদম আন্ডারপাস, পাতিপুকুর আন্ডার পাস, আমহার্স্ট্র স্ট্রিট ও বেহালার নীচু এলাকাগুলিতে। অতিবৃষ্টিতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা সেক্টর ফাইভে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে নাজেহাল পরিস্থিতি। নিউটাউনেও বিভিন্ন জায়গাতেও  জল। বৃষ্টিতে আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। রোগীকে নামিয়ে অটোয় করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কৈখালি থেকে তেঘরিয়া যাওয়ার রাস্তার থার্ড লেনে জল জমে যায়। সেই রাস্তাতেই আটকে পড়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। শেষে ট্রাফিক পুলিসের সাহায্যে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।অতিবৃষ্টিতে কিছু সময় জলমগ্ন হয়ে পড়ে মহাত্মা গান্ধী রোড। যার প্রভাব পড়ে যান চলাচলে। হাঁটু জলে দাঁড়িয়েও যান চলাচল সচল রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যান ট্রাফিক পুলিস কর্মীরা। জমা জলে ভোগান্তি হয়  মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে।যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করেন পুরকর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মিলেছে, দাবি সিবিআইয়ের


জল থই থই বেহালার শীলপাড়ায়। ১২৫ ও ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অংশে প্রায় হাঁটুসমান জল। জল জমে তারাতলা ক্রসিংয়েও। বাসিন্দাদের দাবি, ফি বছরই এমন অবস্থা হয় এখানে। বিভিন্ন মহলে দরবার করেও কাজ হয়নি। কলকাতার পরিস্থিতি মোটেও উদ্বেগজনক নয়। গঙ্গার জোয়ার বিঘ্ন না ঘটালে, এই বৃষ্টিতে  শহর জলমগ্ন থাকবে না। আশ্বাস মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।তবে উল্টোডাঙা আন্ডারপাসে জল জমা সত্ত্বেও ট্রাফিক জ্যাম হয়নি। কারণ প্রতিকুল পরিস্থিতিতে  দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেয় ট্রাফিক পুলিস।


আরও পড়ুন  কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী ৩-৪দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের