Kolkata: কেষ্টপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মা-মেয়ের জোড়া দেহ, তীব্র চাঞ্চল্য...
ফ্ল্যাটের ভিতর মেঝেতে পড়ে মেয়ের নিথর দেহ। তবে মা তখনও জীবিত, মেঝেতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা চলছিল...
সৌমেন ভট্টাচার্য ও অয়ন ঘোষাল: কেষ্টপুর প্রফুল্ল কাননে ঐকতান অ্যাপার্টমেন্ট ২ জন মহিলার দেহ উদ্ধার। ঘটনাস্থলে বাগুইআটি থানার পুলিস। কেষ্টপুর প্রফুল্ল কাননের কাছে ঐকতান অ্যাপার্টমেন্টে মা ও মেয়ের উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে বিষ জাতীয় কিছু খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে মা-মেয়ে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিস। বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, কেষ্টপুর প্রফুল্ল কাননে আসলে মামাবাড়িতে তিন তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন মা-মেয়ে। কেষ্টপুরের অভিজাত আবাসনে মামা গৌতম দে-র সঙ্গেই থাকতেন দিদি গোপা রায় (৫৬) ও ভাগ্নী সুদেষ্ণা রায় (৩২)। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা চলছিল গোপা রায়ের। তারপর থেকেই মামার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন দিদি ও তাঁর মেয়ে। বিধাননগর মিউনিসিপ্যালিটির অস্থায়ী কর্মী ছিলেন মামা।
গতকাল রাতে তারাপীঠের উদ্দেশে রওনা হন মামা গৌতম দে। তারপর রাতে বাড়িতে ফোন করে কোনও উত্তর না মেলায় সিকিউরিটিকে দেখতে বলেন তিনি। সিকিউরিটি এসে দেখে কলাপসেবল গেটে তালা। এরপরই দেখতে পান ফ্ল্যাটের ভিতর মেঝেতে পড়ে ভাগ্নীর নিথর দেহ। তবে মা তখনও জীবিত, মেঝেতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। খবর পেয়েই বাড়ি ফিরে আসেন মামা। তবে ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে দিদি-ভাগ্নীর।
মা-মেয়ের মুখের অংশ কালো হয়ে যাওয়ায়, পুলিস প্রাথমিকভাবে মনে করছেন বিষ কিংবা অ্যাসিড জাতীয় কিছি খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে দুজনে। জোড়া দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বোঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
আরও পড়ুন, Zee 24 Ghanta Impact: 'সার্কাস থিম পার্টি'তে শেকলবন্দি বাঁদর! নাইট ক্লাবের বিরুদ্ধে FIR