নিজস্ব প্রতিবেদন : মেডিক্যাল কলেজে আগুন লাগার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটল না। অগ্নিকাণ্ডে নিজেদের গাফিলতি মানতে নারাজ সিইএসসি। অন্যদিকে, মেডিক্যালে আগুন লাগার ঘটনায় অন্তর্ঘাতের প্রশ্নও উঠছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিকাণ্ডে জোরালো হচ্ছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। কী থেকে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের একই ঘরে রয়েছে অ্যাকাউন্টস এবং ফার্মেসির কন্ট্রোল রুম। সেই ঘরে থেকেই বিপত্তি। তবে সূত্রের খবর, ঘরের এসি, সুইচ বোর্ড সবই অক্ষত রয়েছে। এমনকী, ফ্রিজেও আঁচড় লাগেনি। পুড়ে ছাই শুধু কম্পিউটারের ইউপিএস এবং সিপিইউ। প্রাথমিক তদন্ত করে সিইএসসি পুলিসকে জানিয়েছে, তাদের গাফিলতি  থাকলে আগুন লাগার পর  আলো জ্বলত না। পাশাপাশি পাখাও চলত না। মেডিক্যালে আগুন লেগেছে অ্যাকাউন্টস ও কন্ট্রোল রুমে। সেখানে বেশি লোকজনের যাতায়াত নেই। ফলে প্রশ্ন উঠছে মেডিক্যালের  আগুন দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? এদিন ফের মেডিক্যাল কলজে থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে ফরেনসিক দল।


আরও পড়ুন, অক্সিজেন নেই! সাংবাদিককে দেখেই অসহায় আর্তি, "বাবা, কষ্ট হচ্ছে খুব"


বুধবার সকাল আটটা নাগাদ আগুন লাগে এইমসিএইচ বিল্ডিংয়ের নীচে ওষুধের কাউন্টারে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে।  কালো ধোঁয়ায় আর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। আগুনের উত্স খুঁজে পাওয়ার আগেই রোগী হাসপাতাল থেকে বের করে আনার হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।  এইচএমসি বিল্ডিংয়ের প্রায় ৪০০ মুমূর্ষু রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। রোগীদের নিরাপদে হাসপাতালের ভিতর থেকে বের করতে আনতে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন হাসপাতালের নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, দমকলকর্মীরা। হাত লাগান রোগীর আত্মীয়রাও।


গতকালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সইফুল ইসলাম বলে এক রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। কালো ধোঁয়ায় প্রবল শ্বাসকষ্ট ও হুড়োহুড়িতেই  মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তি। এমনটাই দাবি করেছেন মৃতের মা। এইচএমসি বিল্ডিংয়ের দোতলায় মেডিসিন বিভাগে ভর্তি ছিলেন হুগলির বাসিন্দা সইফুল ইসলাম মল্লিক। ৯ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি  ছিলেন সইদুল। বুধবার সকালে আগুন লাগার পর সইফুলকে হাঁটিয়ে বাইরে বার করেন তাঁর ছেলে। বেশ কিছু ক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকার পর ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।


আরও পড়ুন,মেডিক্যালের আগুনে রোগীদের বাঁচাতে ঝাঁপালেন ক্যান্সার আক্রান্তের বাবা


মেডিক্যালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ কোটি টাকার ওষুধ নষ্ট হয়েছে। তবে ওষুধের সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। মেডিক্যালের অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে গতকালই ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয়।