ওয়েব ডেস্ক: আজ কলকাতায় পুরভোট। ২০১৬ ফাইনালের আগে সেমি ফাইনাল। গত ৪ বছরে একাধিক ইস্যুতে চাপের মুখে পড়তে হয়েছে শাসকদলকে। সেসব মোকাবিলা করেই কি উর্ধ্বমুখী থাকবে তৃণমূলের সমর্থন? বিজেপি নাকি বামেরা, কে হবে প্রধান প্রতিপক্ষ? উত্তরের আশায় পুরভোটের দিকে তাকিয়ে সব মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৯ লোকসভা ভোটই মাইলস্টোন। রাজ্যে বাম দুর্গে ফাটলের ইঙ্গিত দিয়ে বিপুল জয় পায় কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট। একবছরের মধ্যেই কলকাতা পুরসভাতেও ক্ষমতায় তৃণমূল। পরের বছর পালাবদল। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার।


কিন্তু বছর ঘুরতেই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূল। ২০১৩ এপ্রিলে সারদা কেলেঙ্কারি ফাঁস হতেই দেশজুড়ে তোলপাড়। সেই বিতর্কের মাঝেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী  নিয়ে কমিশনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় সরকার। আদালতে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়লেও পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল জয় পায় তৃণমূল।


২০১৪ লোকসভা ভোটের আগেই  দেশজুড়ে ক্রমশ জোরদার হয় বিজেপি হাওয়া । অন্যদিকে সারদা, ত্রিফলাসহ একাধিক কেলেঙ্কারিতে কোণঠাসা হয় তৃণমূল।  তবে লোকসভা ভোটেও তৃণমূলের জনসমর্থন অটুটই থেকে যায়। এই প্রথম রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় উঠে আসে বিজেপি।


কেন্দ্রের মোদী সরকারের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত ক্রমশ চরমে ওঠে। সারদা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীরা একে একে গ্রেফতার হন। রাজ্যে এসে ২০১৬ তে তৃণমূলকে উত্‍খাতের ডাক দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।


বিজেপির বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ান মমতা। কিন্তু দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়ের সঙ্গে নেত্রীর দূরত্বের জেরে সাময়িক ব্যাকফুটে চলে যায় তৃণমূল। তবে এরই মধ্যে বনগাঁ আর কৃষ্ণগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। অন্যদিকে  ক্রমশ চাঙা হতে শুরু করে বামশিবির। ইতিমধ্যেই পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়। ভোটে প্রতিরোধ গড়ার  ডাক দেয় বামেরা।  


পুরভোটের আগে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোচ্চার বিরোধীরা। ভোটে থাকছে না পর্যাপ্ত  কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই অবস্থায় ভোট অবাধ হবে কিনা প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তবে জয় নিয়ে সংশয় নেই তৃণমূলের। প্রশ্ন একটাই,  ২০১৬ নির্বাচনের আগে  প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে বিজেপি নাকি বাম শিবির? তারই আভাস মিলতে পারে পুরভোটের ফলাফলে।