Kolkata: সাততলার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ রোগীর, দেড়ঘণ্টা দাঁড়িয়ে দেখল প্রশাসন!
কলকাতা পুলিস, বিপর্যয় বাহিনী, দমকল- সমস্ত ব্যবস্থা পৌঁছে যাওয়া সত্ত্বেও কেন উদ্ধার করা গেল না তাকে?
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেড় ঘণ্টার চেষ্টা। সমস্তটাই বিফলে। আশঙ্কাই সত্যি হল। হাত ফস্কে সাততলার জানলার কার্নিশ থেকে সোজ নীচে পড়লেন রোগী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন বেলা ১১টার দিকে আচমকা মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের (I-NK) কার্নিশে এক রোগী উঠে পড়েন। তা দেখে হতবাক হয়ে যান হাসপাতালের কর্মীরা। খবর দেওয়ার হয় দমকলে। দমকল কর্মীরা অনেক চেষ্টা করেও ওই রোগীকে নামাতে পারেননি। অবশেষে ঘণ্টা দেড়েক পর ঝাঁপ দেন ওই রোগী।
এই পুরো ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। টানা দেড়ঘণ্টা সময় পাওয়ার পরও কেন উদ্ধার করা গেল না রোগী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পাশাপাশি এতক্ষণ ধরে শত চেষ্টার পরও কেন রোগীকে উদ্ধার করতে পারল না দমকল, সে নিয়েও প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ শুর করেছে স্থানীয় মানুষেরা। কলকাতা পুলিস, বিপর্যয় বাহিনী, দমকল- সমস্ত ব্যবস্থা পৌঁছে যাওয়া সত্ত্বেও কেন উদ্ধার করা গেল না তাকে?
হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বিশেষজ্ঞ গোপীনাথ ভাণ্ডারি বলেন, ''কলকাতা পুলিস, বিপর্যয় বাহিনী, দমকল এত ব্যবস্থাপনা থাকা সত্ত্বেও রোগীকে বাঁচানো গেলো না। আমরা এধরণের সরঞ্জাম ব্যবহারে যে খুব একটা পিছিয়ে আছি তাও নয়। তারা সেখানে পৌঁছেও গিয়েছে তবু দেড়ঘণ্টা ধরে নীচ থেকে দাঁড়িয়ে ছবিটা দেখলাম! কেন এই ঘটনা ঘটল জানিনা। হাতে সময় পাওয়া না গেলে অন্যবিষয় ছিল। কিন্তু এতটা সময় পাওয়ার পরও কিছু করা গেল না। অবাক হচ্ছি। এর কোনও উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না।''
নিউরো সায়েন্সের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে বলা হয়েছে, ''রোগী পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে ভর্তি হয়েছিল।মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিল। আজই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা। তার আগে কেনো এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে। জানলা কী করে খুললো সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।''
দমকল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ''সমস্ত রকম চেষ্টা করা হয়েছে। কাউকেই কাছে আসতে দিচ্ছিলেন না ওই রোগী। হাইড্রলিক ল্যাডার নিয়ে আসা হয়। তবে জাম্পিং কুশন নীচে পাতার আগেই ঝাঁপ দিয়েছেন ওই রোগী।'' দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন,''বিতর্ক কিছু মানুষ চিরকালই তৈরী করবে। আমি নিজে টেলিভিশনে দেখছিলাম এবং ফোনেও যোগাযোগ রেখেছিলাম। দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা তাদের সবরকম চেষ্টা করেছে। কিন্তু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কোনও মানুষ এরকম ঘটনা ঘটালে সবটা হাতের মধ্যে থাকে না। আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলছে। আশা করব উনি সুস্থ হয়ে উঠুন।''
আরও পড়ুন, Kolkata: নিউরোসায়েন্সের কার্নিশে রোগী, দেড়ঘণ্টা পর ৭ তলা থেকে ঝাঁপ, দমকলের ভূমিকায় প্রশ্ন