Medical Students Suicide: প্রদীপ্তার আগে অনুপ, কেন পর পর ডাক্তারি পড়ুয়া আত্মঘাতী? চাঞ্চল্যকর বয়ান সহপাঠীর
এনএমসির নতুন নিয়ম মেনে আগামী বছর ফাইনাল এমবিবিএস পরীক্ষার সঙ্গেই ইন্টার্নশিপের জন্যও একটি জাতীয় পরীক্ষায় বসতে হতে পারে পড়ুয়াদের। এই পরীক্ষা নিয়েই একটা টানাপোড়েনের মধ্যে চাপ বাড়ছে ফাইনাল ইয়ারের ডাক্তারি পড়ুয়াদের উপর।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী প্রদীপ্তা-ই প্রথম নন। তারও আগে আত্মঘাতী হন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্র। ৩০ জুলাই আত্মঘাতী হন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র অনুপ ঢেলিয়া। হাওড়ার বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন অনুপ ঢেলিয়া নামের ওই ছাত্র। তাঁর সহপাঠীরা জানাচ্ছেন, চতুর্থ বর্ষের পাঠক্রম নিয়ে চাপে ছিলেন ওই ছাত্রও। মানসিক সমস্যার জন্য চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন একের পর ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়া পাঠক্রম নিয়ে মানসিক চাপে?
ঘটনা হল, এনএমসির নতুন নিয়ম মেনে আগামী বছর ফাইনাল এমবিবিএস পরীক্ষার সঙ্গেই ইন্টার্নশিপের জন্যও একটি জাতীয় পরীক্ষায় বসতে হতে পারে পড়ুয়াদের। আর সে পরীক্ষায় পাস না করলে ইন্টার্নশিপ-ই করতে পারবেন না তাঁরা। আর সেটা না করতে পারলে মিলবে না ডিগ্রি। ফলে ভবিষ্যত নিয়ে একটা টানাপোড়েনের মধ্যে চাপ বাড়ছে ফাইনাল ইয়ারের ডাক্তারি পড়ুয়াদের উপর। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সেটা জেনে ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়াদের উপর কি বাড়তি নজর দিচ্ছেন শিক্ষকরা? এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের বক্তব্য, না। উলটে ভাবী ডাক্তার হিসেবে সেই চাপটা নিতেই হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। আর তারফলেই পড়াশোনার চাপের সঙ্গেই বাড়ছে মানসিক চাপ। আর সেই মানসিক চাপের জেরেই মানসিক অবসাদ! এমনটাই মনে করছেন ও বলছেন আত্মঘাতী ডাক্তারি পড়ুয়াদের সহপাঠীরা।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ঘর থেকে উদ্ধার হয় ডাক্তারি পড়ুয়া, ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী প্রদীপ্তা দাসের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক বাড়ির লোক, আত্মীয়-পরিজন থেকে বন্ধুরা। মেধাবী প্রদীপ্তার বাড়ি সোদপুরে। থাকতেন কলেজের হস্টেলেই। রোজকার মতো সেদিনও ক্লাস করেন প্রদীপ্তা। বিকেলে হস্টেলে ফেরেন তিনি। পরে রুমমেট হস্টেলে ফিরে দেখেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও প্রদীপ্তার কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর দরজা ভাঙতেই গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান রুমমেট! ন্য়াশনাল মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে প্রদীপ্তাকে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী ছিলেন প্রদীপ্তা। এমনকি, শেষ যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাতেও যথেষ্ট ভালো রেজাল্ট করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইদানিং পড়া ভুলে যাওয়া নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছিলেন। বাবাকে জানিয়েওছিলেন সেকথা। মানসিক অবসাদের কারণে ডাক্তারও দেখানো হয়েছিল প্রদীপ্তাকে। কিন্তু তারপরও শেষরক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন, West Bengal Cabinet Reshuffle: মমতার নয়া মন্ত্রিসভায় ৯ নামে শিলমোহর, ৮ নতুন মুখ কারা?
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)