ওয়েব ডেস্ক: স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। বিষ ইনজেকশন পুশ করে আত্মঘাতী হলেন চিত্তরঞ্জন হাসপাতালের নার্স। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী চিরঞ্জিত্‍ চ্যাটার্জিকে। হরিদেবপুরের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স। তাই কোন ইনজেকশন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, তা ভালই জানেন। কোন ইনজেকশনে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, তাও জানেন। তাই আত্মহত্যার জন্য বেছে নিলেন বিষ ইনজেকশন। স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজের শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মঘাতী হলেন চিত্তরঞ্জন হাসপাতালের নার্স মাধ্যমী মাইতি। 


বড়মেয়ের বিয়ের জন্য কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন হরিদেবপুর পূর্ব বড়িশার প্রশান্ত রায় রোডের গুরুপদ মাইতি। বিজ্ঞাপনে দেওয়া ফোন নম্বর থেকেই গুরুপদর ছোট মেয়ে মাধ্যমীর সঙ্গে আলাপ হয় দুর্গাপুরের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সির ছাত্র চিরঞ্জিত্‍ চ্যাটার্জির। আলাপ থেকে প্রেম। পরিবারের নিষেধ সত্ত্বেও চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি চিরঞ্জিতের সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন মাধ্যমী। 


অভিযোগ, এর পর থেকেই সামাজিক বিয়ের জন্য মাধ্যমী ও তাঁর পরিবারের ওপর চাপ দিতে থাকেন চিরঞ্জিত্‍। এমনকি নার্সের চাকরি ছেড়ে দুর্গাপুরে চলে যাওয়ার জন্যও চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে গত ২০ জুন হরিদেবপুর থানায় চিরঞ্জিতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাধ্যমী।


নির্যাতন চরমে ওঠে। আত্মহত্যার পথ বেছে নেন মাধ্যমী। ২৬ জুন ভোরবেলায় ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি মাধ্যমীর। এরপর দরজা ভেঙে দেখা যায় বিছানায় পড়ে রয়েছে তাঁর নিথর দেহ। বিছানার পাশেই পড়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ও অ্যাম্পুলের ভাঙা শিশি। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, বিষ ইনজেকশন পুশ করেই আত্মঘাতী হয়েছেন মাধ্যমী। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চিরঞ্জিতকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিস।