নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনে প্রায় সকলেই এখন ঘরে থাকছেন। কিন্তু যাঁদের মাথার উপর ছাদ নেই, কিংবা লকডাউনের জেরে যাঁদের দৈনিক উপার্জন এখন বন্ধ? তাঁদের কথা ভেবেই এগিয়ে এল কলকাতা পুলিস। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও স্থানীয়দের সঙ্গে একজোট হয়ে শহরের বেশ কিছু থানা গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। শুধু তাই নয়, দেওয়া হচ্ছে দু'বেলার আহারও। লকডাউন পরিস্থিতিতে যাতে দুঃস্থদের কোনও সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে সদা সতর্ক প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই বিভিন্ন স্থানে দুঃস্থদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিস। 



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেলেঘাটা, মানিকতলা ও এন্টালি থানার পুলিসকর্মীদের উদ্যোগে দুঃস্থদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। শুধু তাই নয়, খাবার পৌঁছে দেওয়াও হয় কারও কারও কাছে। কলকাতা পুলিসের মানবিক দিক দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের ব্যস্ততার মাঝেও কলকাতা পুলিসের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই। 


গড়িয়াহাটেও ফুটপাথবাসীদের কাছে পৌঁছে যান সাউথ-ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের সদস্যরা। পরম মমতায় তাঁদের হাতে তুলে দেন খাবার, জলের বোতল। 



বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন পরিস্থিতিতে সকলকে দুঃস্থদের পাশে থাকার অনুরোধ করেন। সকলকে মানবিক হওয়ার আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, "“যদি দেখেন কেউ এই অবস্থায় খেতে পাচ্ছে না, দয়া করে বিডিওকে খবর দিন। পুলিশকে খবর দিন।" মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পুলিশ ও বিডিও তাঁদের খাবার পৌঁছে দেবেন।"


কলকাতা পুলিসের সাউথ-ইস্ট ডিভিশনের পক্ষে শিশু ও বয়স্কদের খাওয়ার আয়োজন করা হয়।



করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের প্রধান কারণ সকলের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। আর সেই কারণেই, আশ্রয়হীন মানুষও যে লকডাউনের আওতাধীন, বুধবারই তা স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "নাইট শেল্টারে থাকুন। পুলিস খাবারের ব্যবস্থা করবে।"