জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্মতলায় আইএসএফের সঙ্গে পুলিসের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার আইএসএফ নেতা ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে আইএসএফের আরও ১৬ নেতা-কর্মীকে। জয়েন্ট সিপি হেডকোয়ার্টার শুভঙ্কর সিনহা সরকার জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় নওশাদ সিদ্দিকি-সহ মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লালবাজার সূত্রে খবর ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, গন্ডেগোল পাকানো, পুলিসের উপরে হামলার ধারা দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাবে খুনের চেষ্টার অভিযোগেও মামলা রুজু করেছে পুলিস।


আরও পড়ুন-বন্ধুকে বিশ্বাস করে ম্য়ানেজার বানিয়ে ছিলেন! পরিণামে ভয়ংকর প্রতারিত ভারতীয় পেসার


পুলিসের অভিযোগ, ধর্মতলা ডোরিনা ক্রসিংয়ে যেখানে আইএসএফের জমায়েত হয়েছিল সেখান থেকে পুলিসের উপরে হামলা চালানো হয়।
ধর্মতলায় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১৯ পুলিস কর্মী। তাদের দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে যান পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল। ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার, ওসি বউবাজার দেবজিত্ ভট্টাচার্য, অ্যডিশনা ওসি বউবাজার সমরেন্দ্র চক্রবর্তী, এসআই বউবাজার জগদীশ মুখোপাধ্যায়, সার্জেন্ট মিজানুর রহমান। এনিয়ে কমিশনার বলেন, আমাদের অনেক পুলিসকর্মীর আঘাত গুরুতর। তাঁদের প্রাথমিক চিকিত্সা হচ্ছে। তারপরে চিকিত্সকরা যেরকম সিদ্ধান্ত নেবেন তেমনটাই হবে।


ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষের অভিযোগে আরাবুল ইসলাম-সহ তৃণমূলে নেতাদের গ্রেফতাদের দাবি তোলেন নওশাদ সিদ্দিকি। ডেরিনা ক্রসিংয়ের সভায় তিনি ওই দাবি করে অবরোধ শুরু করেন। সেই অবরোধ হঠাতে লাঠি চালায় পুলিস। ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল। পুলিসকে লক্ষ্য করে জুতো, ইট ছোড়ে আইএসএফ সমর্থকরা। আইএসএফ নেতা ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে পুলিস। সবমিলিয়ে রণক্ষেত্র ধর্মতলা।


ডোরিনা ক্রেসিংয়ের একদিকে পুলিস। অন্যদিকে আইএসএফ সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় খণ্ডযুদ্ধে। ইট, পাথর, জুতো, উল্টোদিকে কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধর্মতলা। পুলিসের লাঠিচার্জ থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালাতে থাকেন আইএসএফ সমর্থকরা। কয়েকজন আহত সমর্থকদের রাস্তায় পড়ে থাকতেও দেখা যায়।  ধোঁয়ায় ভরে যায় ডোরিনা ক্রসিং। কয়েকজন পুলিসকর্মীও আহত হন। এদিন নওশায় সিদ্দিকি গাড়ির উপর থেকে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করে দেন, তারা অবরোধ কোনওভাবেই তুলবেন না। তারপর পুলিস তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অবরোধ তুলতে রাজি হননি তিনি। সেই কথা শোনার পরই লাঠিচার্জ শুরু করে দেয় পুলিস। পাল্টা আসরে নামে আইএসএফ সমর্থকরাও। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)