নিজস্ব প্রতিবেদন: বাইকবাহিনীর তাণ্ডবের মুখে পড়েছেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত। অভিযুক্তদের কারও মাথাতেই ছিল না হেলমেট। ঊষসীর অভিযোগের পর এবার রাতের কলকাতায় হেলমেটহীন বাইক আরোহীর খোঁজে রাস্তায় নামল পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' কর্মসূচিতে হেলমেট ছাড়া গাড়ি না চালানোর বিজ্ঞাপন দিয়েছে কলকাতা পুলিস। হেলমেট ছাড়া বাইক চালাতে দিতে হয় জরিমানাও। দিনের আলোয় হেলমেট পরেই রাস্তায় নামেন বাইক আরোহীরা। কিন্তু রাতে পাল্টা যায় ছবিটা। অভিযোগ, কলকাতা শহরের একাংশ তখন দাপিয়ে বেড়ায় বাইক বাহিনী। তাদের কারওর মাথাতেই থাকে না হেলমেট। 


ঊষসী সেনগুপ্তর উবর গাড়ির চালককে নিগ্রহের পর ফের সামনে আসে সেই অভিযোগ। অভিযুক্তদের কারও মাথাতেই ছিল না হেলমেট। ঊষসী যে ভিডিয়োটি ফেসবুকে দিয়েছেন, তাতেও সেটা স্পষ্ট। সেই ঘটনার পর এদিন রাতে এক্সাইড মোড়ে চলল পুলিসের নজরদারি। 



এক্সাইড মোড়ে নজরদারি চললেও শুনশান ধর্মতলা। সেখানে নাকা পয়েন্টে একজন পুলিস কর্মীকেও দেখা গেল না।     



সোমবার গভীর রাতে মধ্য কলকাতার এক্সাইড মোড়ে দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত। অভিযোগ, ময়দান থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ওই ঘটনা ঘটলেও অভিযোগ, থানায় গিয়ে সাহায্য পাননি তিনি। তাঁকে জানানো হয়, ঘটনাস্থল চারু মার্কেট থানার অধীন। এর পর চারু মার্কেট থানায় গিয়েও অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি ঊষসী। তাঁকে বলা হয় ভবানীপুর থানায় যেতে। গভীর রাত পর্যন্ত দড়িটানাটানির পর অবশেষে চারু মার্কেট থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। 


ঘটনাটি ফেসবুকে পোস্ট করেন ঊষসী। সংবাদমাধ্যমে তা সম্প্রচারিত হতেই শুরু হয় তোলপাড়। কী করে গভীর রাতে দুষ্কৃতী হামলার শিকার মহিলাকে পুলিস এক থানা থেকে অন্য থানায় ঘোরাতে পারে তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিস সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছে বলেও অভিযোগ ওঠে। 


আরও পড়ুন- মিস ইন্ডিয়া হেনস্থাকাণ্ডে ধৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারা, তদন্ত কমিটি গড়ল পুলিস