ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বরের সত্‍সঙ্গে উপবাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন দেবযানী দে। টানা পাঁচ বছর ডাকযোগে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।  সত্‍সঙ্গ কর্তৃপক্ষের দাবি, সেখানে মরণোত্তর জীবনের কৌশল সম্পর্কেও প্রশিক্ষণ নেন তিনি। প্রশিক্ষণের সর্বোচ্চ পর্যায় ক্রিয়া যোগে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন দেবযানী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাফল্যের সার্টিফিকেট নিতে ২০০১ সালে দেবযানী রাঁচিতেও যান। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আর যোগাযোগ রাখেননি বলে দাবি সত্‍সঙ্গ কর্তৃপক্ষের। তাঁদের অনুমান, এরপর হাওড়ার এক সন্ন্যাসিনীর সঙ্গে দেবযানীর যোগাযোগ হয়। সেখানেও উপবাস সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নেন তিনি।


রবিনসন স্ট্রিটে দে পরিবারে তল্লাসি চালিয়ে আরও কিছু তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করল পুলিস। পার্থ-র কাকা অরুণ দে-কে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছিল পুলিস। তা যাচাই করতেই, ডিসি সাউথ মুরলিধর শর্মার নেতৃত্বে আজ ফের তল্লাসি চালানো হয় ঘটনাস্থলে। দে পরিবার থেকে বেশ কিছু খাতা, ডায়েরি, চিরকুট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। উদ্ধার হয়েছে ওষুধের বেশ কিছু ফাঁরা ও ভর্তি স্ট্রিপ। আজ দিনভর ওই বাড়িতে তল্লাসি চালানো হবে।


সাইকো তদন্তে অসহযোগিতা করছে পাভলভ হাসপাতাল। অভিযোগ কলকাতা পুলিসের। পার্থ দে-কে অন্য মানসিক হাসপাতালে সরানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। সাইকো কাণ্ডের নায়ককে আজ জেরার অনুমতি দেয়নি পাভলভ কর্তৃপক্ষ। আজ সকালে প্রায় দেড়ঘণ্টা পার্থ-র সঙ্গে কথা বলেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। পাভলভ সুপারকে তাঁরা জানিয়েছেন, পার্থ দে এখনও পুলিসি জেরার মুখোমুখি হওয়ার পরিস্থিতিতে নেই। সেই সিদ্ধান্তের কথা কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, জেরার মুখোমুখি হওয়া নিয়ে শর্ত পেশ করেছেন পার্থ দে।  মাদার হাউসের কোনও প্রতিনিধি থাকলে, তবেই তিনি পুলিসের প্রশ্নের জবাব দেবেন বলে চিকিত্‍সকদের জানিয়েছেন সাইকো কাণ্ডের নায়ক।


সাইকো পার্থর নিশানায় এবার কাকা অরুণ দের পরিবার। আজ পাভলভে মেডিকাল বোর্ডের সদস্যদের পার্থ  বলেন, তুকতাক করে তাঁর মাকে মেরে ফেলেছে  কাকা ও কাকিমা। এর পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন কলকাতার সাইকো। দিদি -দিদি করে ডুকরে কেঁদে ওঠেন তিনি। দেবযানীর প্রসঙ্গেও এদিন চাঞ্চল্য কর কিছু তথ্য দিয়েছেন পার্থ। তাঁর দাবি, তিন দিন পর মেয়ের মৃত্যুর খবর জেনেছিলেন অবরবিন্দ। না খেয়ে ধ্যান করছিলেন দেবযানী। অনেক চেষ্টা করেও সে বা অরবিন্দ তাঁকে খাওয়াতে পারেননি।  দেবযানীর প্রবল ইচ্ছাশক্তির কাছে সে দিন হার মেনেছিলেন তাঁরা। অপুষ্টিতেই মৃত্যু হয় দেবযানীর।