একাদশীর সন্ধ্যায় নিঃসঙ্গ বাগবাজারে শুধুই বিষণ্ণতা, উল্টো ছবি চেতলা অগ্রণীতে
আবার কাজে ফেরার পালা। উত্সবের রেশ কাটিয়ে ফিরে আসা বাস্তব জীবনের কঠোর গদ্যে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিসর্জনের পরেই মনখারাপের বিকেল। ফাঁকা প্যান্ডেল। বিষণ্ণ মন। ল্যাম্পপোস্টের ম্যাড়ম্যাড়ে আলো। প্রদীপের আলোয় ফের আগমনীর প্রতীক্ষা। পুজো উদ্যোক্তাদেরও চোখে জল।
ঘরের মেয়ে পাড়ি দিয়েছে কৈলাসে। সত্যিই এই বিসর্জন বড় কষ্টের। বছরভর যে আগমনীর প্রতীক্ষায় বুক বাঁধা তাকে বিদায় দেওয়া বড় কঠিন। প্রতিমা বিসর্জনের পর তাই বড় একা হয়ে যায় প্যান্ডেল। হঠাত্ করেই নেমে আসে চরম নিঃসঙ্গতা। মধ্য কলকাতার অন্যতম সাবেকি পুজো বাগবাজার সর্বজনীন। সেই আলো ঝলমলে প্যান্ডেল, রাস্তা, সব যেন নিমেষে থমথমে। টিমটিম করে জ্বলতে থাকা প্রদীপের নিঃসঙ্গ আলোয় ছড়িয়ে পড়ছে একবুক বিষণ্ণতা।
আরও পড়ুন, হাত-পা বেঁধে মার স্ত্রী-শাশুড়ির, পুজোয় শ্বশুরবাড়ি ঘুরতে এসে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জামাইয়ের
প্যান্ডেল আজ বড় একা। ঝলমলে জামা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে বাঁশের পাঁজর। নেই আলোর জৌলুস। শূন্যতা গিলে খাচ্ছে সারা বছর ধরে যাঁরা পুজোর সঙ্গে জুড়ে থাকেন তাঁদেরকেও। নাওয়া খাওয়া ভুলে পুজোর তদারকি করেন, বিসর্জনের পর তাঁরাও হঠাত্ই একা হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন, গৃহশিক্ষকের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে! 'সুখের দাম্পত্য' ঘুচল ৩ বছরেই
বিকেল গড়িয়ে সন্ধে। নিশি প্রদীপের মৃদু আলোয় ছড়িয়ে পড়ছে বিসর্জনের বিষন্নতা। আবার কাজে ফেরার পালা। উত্সবের রেশ কাটিয়ে ফিরে আসা বাস্তব জীবনের কঠোর গদ্যে। আসছে বছর আবার হবে, এই প্রতীক্ষাতেই ফের দিন গোনার শুরু। প্রস্তুতি শুরু পরের পুজোর।
আরও পড়ুন, দরজা খোলা, ঘরে পা রেখেই বিছানায় স্ত্রীকে এঅবস্থায় দেখে চমকে উঠলেন স্বামী
যদিও, একাদশীর সন্ধ্যাতেও উপছে পড়া ভিড় চেতলা অগ্রণীতে। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন মানুষ। একাদশীর সন্ধ্যাতেও লম্বা লাইন চেতলা অগ্রণীতে। কার্নিভ্যালে অংশ নেবে চেতলা অগ্রণী। তাই এখনও প্রতিমা বিসর্জন হয়নি। আর পড়ে পাওয়া সুযোগ তাই ছাড়তে নারাজ পুজোপ্রেমী আমজনতা।