Shootout: বাঁশদ্রোণী গুলিকাণ্ডে `নাটকীয় মোড়`! রক্তাক্ত অবস্থাতেই ৯ কিমি দূরে TMC নেতার বাড়ি ছোটেন বাচ্চা সিং
রক্তাক্ত বাচ্চাকে নিয়ে একটি বুলেট বাইকে করে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ নরেন্দ্রপুর থানার গ্রিনপার্ক উন্নয়ন ক্লাবের সামনে চলে আসেন তাঁর অনুগামীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরে শুটআউটের ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মঙ্গলবার মলয় দত্তের অফিসে ঢুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমেই কোনও হাসপাতাল বা লোকাল থানায় না গিয়ে ব্রহ্মপুর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দাসের বাড়ি আসেন রক্তাক্ত বিশ্বনাথ সিং ওরফে বাচ্চা। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর প্রথমে কাছাকাছি কোনও হাসপাতালে যাওয়ার কথা, সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় ৯ কিলোমিটার দূরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে কেন?
প্রসঙ্গত, বিশ্বজিত দাস সোনারপুরের তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসি বেগমের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট। শুটআউটের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই, রক্তাক্ত বাচ্চাকে নিয়ে একটি বুলেট বাইকে করে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ নরেন্দ্রপুর থানার গ্রিনপার্ক উন্নয়ন ক্লাবের সামনে চলে আসেন তাঁর অনুগামীরা। রক্তাক্ত বাচ্চা সিংকে বাইকে করে নরেন্দ্রপুর গ্রিনপার্ক নিয়ে আসার ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। সেই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সামনে আসতেই চাঞ্চল্য।
বিশ্বজিতের পরিবারের দাবি, পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে এবং ঘটনার আকস্মিকতায় সেই সময় সম্ভবত মাথা কাজ করেনি বাচ্চা ও তাঁর অনুগামীদের। তাই বাচ্চার পরামর্শে তাঁর অনুগামীরা তাঁকে হাসপাতালের বদলে প্রথমে এখানে আনেন। বিশ্বজিত প্রথমে অ্যাম্বুল্যান্স যোগাড় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায়, এক পরিচিত অটোচালককে ফোনে নিজের বাড়ির সামনে ডাকেন। বাড়ির পাশেই একটি পুকুরের ধারে সেইসময় বিশ্বজিত কিছু দলীয় কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই কর্মীরাই রক্তাক্ত বাচ্চাকে বাইক থেকে ধরাধরি করে নামিয়ে অটোয় তোলেন। তারপর পিয়ারলেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতেই কলকাতা ছাড়েন বিশ্বজিত। যদিও তাঁর বাবা অরুণ দাসের দাবি, তিনি পূর্ব ট্যুর প্ল্যান অনুযায়ী হিমাচলপ্রদেশ বেড়াতে গিয়েছেন। কিন্তু, ঠিক কী কারণে গুলি লাগার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই বাঁশদ্রোণী থেকে ৯ কিলোমিটার পথ বাইকে করে রক্তাক্ত বাচ্চা সিংকে নরেন্দ্রপুর নিয়ে আসা হল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।