কলকাতা: শিশু নির্যাতনকাণ্ডে ধিক্কারের মুখে তিনি। রাজ্যজুড়ে এই মুহূর্তে সবচেয়ে সমালোচিত তাঁর নাম। কিন্তু এরপরও আজ আদালতে  নিজেকে আদর্শ শিক্ষিকা দাবি করলেন পূজা সিং। তাঁর দাবি, একটা ভুল হয়ে গেছে।  এর থেকে শিক্ষাও নিয়েছেন তিনি। পূজা সিংয়ের পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ তাঁর হয়ে মামলা লড়তে অস্বীকার করেন বিধাননগর মহকুমা আদালতের  আইনজীবীরা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


 



এই সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকার কড়া শাস্তির দাবি উঠছে সব মহল থেকে। শনিবার পূজা সিংকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আরও একবার পাওয়া গেল সেই ক্ষোভের আঁচ। অভিযুক্তের হয়ে সওয়াল করতেই রাজি হননি কোনও আইনজীবী। বাইরের কোনও আইনজীবীও যাতে ওই গৃহশিক্ষিকার হয়ে মামলা না লড়েন, সেইজন্য বিধাননগর বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আবেদন করা হয়। জট কাটাতে শেষপর্যন্ত আদালতের পক্ষ থেকেই একজন আইনি সহায়ক নিয়োগ করা হয়।   


কেন তিনি এমন নৃশংস কাজ করলেন? বিচারকের এই প্রশ্নের জবাবে পূজা সিং জানিয়েছেন, ওই ছাত্রের অবাধ্য আচরণে রেগে গিয়েই এ কাজ করেছেন তিনি। তবে নিজেকে আদর্শ শিক্ষিকা বলেই দাবি করেন পূজা সিং। তাঁর বক্তব্য, ভুল একটা হয়ে গেছে, কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তিনি।  পুলিস সাতদিনের জন্য পূজা সিংকে নিজেদের হেফাজতে চাইলেও বিচারক পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।   


লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়িতে তিন বছরের শিশুকে নির্মমভাবে মারধরে অভিযুক্ত এই গৃহশিক্ষিকা।  শুক্রবার রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পূজা সিংকে গ্রেফতার করা হয়। এই প্রথম নয়, তিনি আগেও শিশুদের এমন নৃশংসভাবে মারধর করেছেন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস।