নিজস্ব প্রতিবেদন:   পূর্বভারতে প্রথম হার্ট প্রতিস্থাপনে ইতিহাস গড়ল কলকাতা। বেঙ্গালুরুর বরুণ ডিকে-র হৃদযন্ত্র সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হল কলকাতার ফর্টিসে চিকিত্সাধীন দিলচাঁদের শরীরে। অপারেশন ইতিমধ্যেই শেষ,  হৃদযন্ত্র ছন্দমেনেই কাজ করছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ৩০ জন চিকিতসকের এই বিশেষ প্রতিনিধিদলের হাতেই চিকিত্সাবিজ্ঞানে ব্যাপক সাফল্য পেল কলকাতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর বরুণের হৃদয়ে বাঁচবে ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ!


বেঙ্গালুরুতে পথ দুর্ঘটনায় আহত হন বরুণ ডিকে নামে এক ব্যক্তি। ১৯ মে স্পর্শ হাসপাতালে তাঁর ব্রেন ডেথ হয়। হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয় চেন্নাইয়ের মালহার ফর্টিস হাসপাতালের সঙ্গে। সেই হাসপাতালে তখন গ্রহিতা ছিল না। যোগাযোগ করা হয় কলকাতা ফর্টিসের সঙ্গে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালে ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ সিং ভর্তি রয়েছেন। দিলচাঁদের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে।


এরপরই চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু উড়ে যান চিকিত্সকরা। যোগাযোগ করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও জাতীয় অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংগঠন NOTO র সঙ্গে। দুই তরফে সবুজ সঙ্কেত পেয়েই বরুণ ডিকে-র শরীর থেকে হৃদপিণ্ড বার করে নেওয়া হয়। সোমবার সকাল ৭টায় হার্ট সংগ্রহ করা হয়।  বরুণ, দিলচাঁদ-দুজনেরই ব্লাড গ্রপ A পজিটিভ। বেঙ্গালুরু থেকে জারবন্দি হৃদপিণ্ড চার্টার্ড বিমানে নিয়ে আসা হয় কলকাতা। আর কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হার্ট বাইপাস ধরে মাত্র ১৯ মিনিটে পৌঁছয় আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালে।


আরও পড়ুন: শারীরিকভাবে অসুস্থ স্বামী, স্ত্রী করতেন এই কাজ! সিভিক ভলেন্টিয়ার খুনের নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য


হার্ট আসা মাত্রই দিলচাঁদের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের কাজ দ্রুত শুরু করে দেন চিকিত্সকরা। চিকিত্সক তাপস রায়চৌধুরী ও কে এম বন্দনার নেতৃত্বে ৩০ জনের চিকিত্সকের দল দিলচাঁদের হার্ট প্রতিস্থাপন করে। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে অপারেশন। সেই সময়টুকু  বিভিন্ন অঙ্গের ক্রিয়াপ্রক্রিয়া কৃত্রিমভাবে চালিত করা হয়েছে। চিকিত্সকরা জানিয়েছে, প্রতিস্থাপিত হৃদযন্ত্র ছন্দমেনেই কাজ করছে। উল্লেখ্য, দিলচাঁদের হৃদযন্ত্রটিও রয়েছে, সেটিকে বার করে আনা হয়নি। চিকিত্সকদের কথায়, ওই হৃদযন্ত্রটি ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে। আপাতত দিলচাঁদকে পর্যবেক্ষণেই রাখছেন চিকিত্সকরা। এই ধরনের অপারেশনের পর পর্যবেক্ষণ সময়টিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিত্সকরা।