প্রবীর চক্রবর্তী: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে বিজেপির বিরুদ্ধে ততই সুর চড়ছে তৃণমূলের। বীরভূমে বিরোধীদের জন্য একসময় অনুব্রত মণ্ডলের মুখে একটা চালু কথা ছিল, নকুড় দানা, গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম। সেই কথাই শোনা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের গলায়। যে ভাবে মমতাকে অপমান করা হচ্ছে তাতে আর রবীন্দ্র সঙ্গীত নয়, এবার চড়াম চড়াম, রবিবার তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি কুণাল ঘোষের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে রান্না ভাতের সঙ্গে সেদ্ধ হল সাবান, বেপাত্তা রাঁধুনি, তুমুল ক্ষোভ পড়ুয়াদের


কুণাল ঘোষের বক্তব্য, মানুষকে দু'ভাবে বোঝাতে হবে। ভোটের মাধ্যমে হারাতে হবে আর সঙ্গে চড়াম চড়াম ঢাক। কুণাল ঘোষ বলেন, মনে রেখে দিন, ভোটে লড়াতে পারে না। সিবিআই ইডি দিয়ে লড়ছে। বীরভূমে যদি আবার নকুড় দানা দিয়ে যদি জল না দেওয়া হয়, যদি আবার চড়াম চড়াম ঢাকের বাদ্যি শোনানো না হয় তাহলে....। এদের শুনতে হবে। কারণ এরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই করছে না, আমাদের নেতা নেত্রীদের নামে কুত্সা করছে। এরা সিবিআই ইডি দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। ফলাফলের দিন সকালে আবীর খেলা, বিকেলে ডিজে হবে।  


২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বদলা নয় বদল চাই। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে এখন  প্রায়ই শোনা যায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনাবার কথা বলেছিলেন তাই তাই বিরোধীদের কথার প্রতিবাদ করেন না সেভাবে। তবে আজ কুণাল ঘোষের মুখে শোনা গেল, রবীন্দ্র সঙ্গীত আর নয়। শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিয়ে কুণাল ঘোষের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিদিন অপমান করছেন উনি। তাঁর নাম ধরে ডাকেন। এরপর তৃণমূল নেতা কর্মীরা আর চুপ করে বসে থাকবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় নির্দেশ দিলে তাঁরাও অন্য পথে হাঁটবেন। এসব বলতে গিয়েই অনুব্রতর সেই চড়াম চড়াম ঢাকের কথা টেনে এনেছেন কুণাল।


কুণাল ঘোষের ওই মন্তব্য নিয়ে সিপিআইএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, সব দুর্নীতিবাজ ও গুন্ডাদের ভাষা একই হয়। যে যেরকমই মুখোশ পরে থাকুন না কেন তাদে অন্তরের ভাষাটা একই। তাই যাহা অনুব্রত বলবেন তাই কুণাল বলবেন, সেই কথাই ঘুরে ফিরে মমতা বলবেন ভিন্ন ভাষায়। গুন্ডামি করা, ভোট দখল করা ছাড়া অন্য কোনও রাজনীতিতে তৃণমূল নেই! তাই চড়াম চড়ামের কথা বলছেন। কিন্তু ওঁরা েতা ইতিহাসের লিখন পড়তে পারেন না। মানুষ যখন পাল্টা চড়াম চড়াম দেওয়া শুরু করবে তখন কী হবে সেই কল্পনাও ওরা করতে পারছেন না। আজকাল গ্রামে পাল্টা চড়াম চড়াম চালু হয়ে গিয়েছে।


বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এর বাইতে তৃণমূল বের হতে পারবে না। তৃণমূলের রাজনীতি রক্তাক্ত করে দেওয়ার রাজনীতি, বিরোধী শূন্য করে দেওয়ার রাজনীতি। বিরোধীদের খুন করার রাজনীতি। অনুব্রত মণ্ডল যে পথে চলছিলেন, সেটাই তো ওদের পথ।


এদিন মঞ্চ থেকে নেমে কুণাল ঘোষ তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, আমরা দলের কাছে অনুমতি চাইব। কারণ বিজেপি কোনও কোনও নেতা, শুভেন্দু অধিকারী-সহ যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে নাম ধরে ডাকছেন তাতে ওদের আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত কেন শোনাব? ওদের ডিজের গান শোনাব। আমরা তার অনুমতি চাইব। শুভেন্দু তো ইদানিং নাচে। ডিজে একটা ছন্দ আছে তাল আছে। তাহলে ও ডিজের সঙ্গে নাচবে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)