Kunal Ghosh: অবিশ্বাস্য হারে সম্পত্তি বৃদ্ধি! অধিকারীদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইকে চিঠি কুণালের...
`২০০৯ সালে যখন উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন, তখন ওনার সম্পত্তি বলছে ১০ লাখ, আবার ২০১১ সালে সেটা হচ্ছে ১৫ লাখ। ২০১২ সালে সেটা হচ্ছে ১০ কোটি! কী করে হতে পারে`?, প্রশ্ন তৃণমূল মুখপাত্রের।
প্রবীর চক্রবর্তী: সারদা মামলায় এবার নিশানায় অধিকারীরা। তদন্তের আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ইডি ও সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। চিঠিতে শিশির অধিকারীর '১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বৃদ্ধি'র উল্লেখ।
কুণাল ঘোষের দাবি, '২০০৯ সালে যখন উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন, তখন ওনার সম্পত্তি বলছে ১০ লাখ, আবার ২০১১ সালে সেটা হচ্ছে ১৫ লাখ। ২০১২ সালে সেটা হচ্ছে ১০ কোটি! কী করে হতে পারে? আমার প্রশ্ন, তথ্যটা ঠিক না ভুল? শিশিরবাবু আগে বলুন, ঠিক না ভুল। যদি ভুল হয়, ওয়েবসাইটে ঠিক করে দিন সেটা'।
সারদা মামলায় সংশোধানাগারে ছিলেন কুণালও। তিনি বলেন, 'সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন কোর্টে যে লিখিত বয়ানটা জমা দিয়েছিলেন, তাতে ২০১১-১২ সালে তাঁকে নাকি কাঁথিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নামও আছে, অধিকারী পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম আছে। তাঁকে কাঁথি পুরসভার ভুল বুঝিয়ে ড্রাফটে টাকা দিতে বাধ্য করা হয় এবং বিপুল অংকের নগদ তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয়। সময়টা কত? ২০১১-১২। আর শিশির অধিকারীর সম্পত্তিটা হঠাৎ ১০ কোটি হয়ে গেল ২০১২ সালে! সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিরেক্টর ইডি, ডিরেক্টর সিবিআইয়ের কাছে আমার স্পষ্ট দাবি, যেহেতু একই সময়ে হচ্ছে, সারদা কেলেঙ্কারি তদন্তের অধীনে এই সম্পত্তি বৃদ্ধির তদন্তটি করা হোক'।
কুণালের আরও বক্তব্য, 'এই অভিযোগ সামনে আনার পর আমি দেখলাম, শিশির অধিকারী বিভিন্ন চ্যানেলে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে আক্রমণ করেছেন। আমি জেলে ছিলাম, আমি বন্দি ছিলাম, কিন্তু ১০ কোটির কোনও ব্য়াখ্যা আমি এখনও পাইনি। আমি না হয় দেখতে খারাপ, আমি না হয় লোকটা খারাপ, সেটা আলাদা বিতর্ক। আপনারটা দশ কোটি ছিল না ছিল না, সেটা বলুন না'।
এদিকে খাতায়-কলমে শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূল সাংসদ। রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক। একটা প্রবীণ মানুষ সম্পর্কে, যিনি প্রায় রাজনৈতিক জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে গিয়েছে, তাঁর সম্পর্কে যে শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, এটা মনে হয় রাজনীতির পরিসরের ভাষা নয়। শিশির অধিকারীর যে সম্পত্তির কথা বলছেন, তার উত্তর শিশির অধিকারী দিতে পারেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিতে পারেন'।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: জন্মদিনেই তলব অভিষেককে! আগামিকাল-ই ইডি হাজিরা
শমীকের মতে, 'আমরা ভেবেছিলাম, কোনও বেনামী সম্পত্তি হিসেব পাওয়া যাবে, নতুন নতুন নথি সামনে আসবে। কিন্তু যেটা সামনে আনছেন, সেটা তো আয়করের হিসেব। আয়কর দফতরের দায়িত্ব হচ্ছে, সম্পত্তির বৃদ্ধি কীভাবে হল, সেটা দেখার। তিনি ভারতের নাগরিক, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ইডি সিবিআইকে চিঠি লিখতেই পারেন। আর যদি মনে হয়, এই ব্যাপারটা ইচ্ছে করে চেপে দেওয়া হচ্ছে, তাহলে আদালতের দরজা খোলা। কোর্টে গিয়ে বলুন'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)