ওয়েব ডেস্ক: সারদা কেলেঙ্কারিতে ফের বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। আদালতে এবার পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র এবং সৃঞ্জয় ও টুটু বসুর নাম নিলেন তিনি। সারদার তদন্তে কেন ওই তিনজনকে ডাকছে না সিবিআই? নগর দায়রা আদালতে প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মামলায় বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষের জেল হেফাজতের আর্জি জানান সিবিআই আইনজীবী। জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন,


বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলে আমাকে ধরতে চাইছে। আমি তো মিডিয়া চালাতাম। বেঙ্গল মিডিয়া থেকে এসপিটিভিকে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়েছে। সেই টাকা গেছে সৃঞ্জয় ও টুটু বসুর কাছে। তাঁদের কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না?


এই দাবিতেই পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের নামও সামনে নিয়ে আসেন কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, সারদার প্রতিটি কর্মী সংগঠনের সভাপতি ছিলেন মদন মিত্র। তাঁকে কেন ডাকা হবে না?
 
কুণাল ঘোষ পরিবহণ মন্ত্রীর নাম নিতেই এজলাসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন শুরু করেন তৃণমূলের আইনজীবী সেলের সদস্যরা। তাঁদের ভর্তসনা করেন বিচারক অরবিন্দ মিশ্র। এভাবে এজলাসে চিত্‍কার না করে হলফনামার মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।


সিবিআইয়ের আর্জি মেনে সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস মামলা কুণাল ঘোষ, সুদীপ্ত সেন ও দেবযানি মুখার্জিকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিকে, সারদা মামলায় জামিনের আর্জি জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু। সোমবার তাঁর আবেদনের শুনানি হবে।


সারদাকে তারা চ্যানেল বিক্রির সময় সিপিআইএম নেতা রবীন দেব মধ্যস্থতা করেছিলেন কি না, তা তাঁর জানা নেই। সিবিআই দফতরে আজ একথাই বললেন রতিকান্ত বসু। তারার চ্যানেল কেনাবেচা নিয়ে ব্রডকাস্ট ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের অন্যতম অংশীদার রতিকান্ত বসুকে আজ ফের ডেকে পাঠায় সিবিআই। সারদাকে চ্যানেল বিক্রির চুক্তির প্রতিলিপি দিতেই তাঁর সিজিও কমপ্লেক্সে আসা বলে জানিয়েছেন রতিকান্ত বসু। তিনি জানিয়েছেন রবীন দেবকে তিনি চেনেন না।