`বিচারপতি গাঙ্গুলি বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের সুরে কথা বলছে`, অভিষককে সিবিআই নোটিসের পাল্টা কুণাল
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। তবে সেই নোটিসে হাজিরা যে তিনি দেবেন না সেকথাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের চিঠির সূত্র ধরে ইডি ও সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। কুন্তুল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের তরফে মন্তব্য করা হয় `অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত`।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। তবে সেই নোটিসে হাজিরা যে তিনি দেবেন না সেকথাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের চিঠির সূত্র ধরে ইডি ও সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের তরফে মন্তব্য করা হয় 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত'।
আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাজিরার নোটিস সিবিআইয়ের, আগামিকালই নিজাম প্যালেসে অভিষেক!
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় সুপ্রিমকোর্টে। সেই আবেদনের কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। কার্যত পশ্চিমবঙ্গ পুলিসকে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত করা কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসারদের বিরুদ্ধে FIR না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার সকালের এই নির্দেশের পরই সিবিআইয়ের নোটিস পৌঁছয় অভিষেকের কাছে।
এরপরই কুণাল ঘোষ বলেন, 'নোটিসের সঙ্গে সিবিআইয়ের নিজস্ব তদন্তের কোনও সম্পর্ক নেই। শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হল না কেন? অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য তদন্তকে প্রভাবিত করছেন। বিচারপতির পছন্দমতো এজেন্সি হবে। বিচারপতির পছন্দমতো তদন্তকারী আধিকারিক নেওয়া হয়। বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান রয়েছে। সিবিআইয়ের এই নোটিস ১৩ তারিখের হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী। টার্গেট করে হেনস্থা করতেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল হাজিরার নির্দেশ সিবিআইয়ের। সকালেই যেহেতু সুপ্রিমকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছে তাই এই নোটিসের কোনও বৈধতা নেই।'
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন বলে তোপ দাগেন। একের পর এক ট্যুইট করছেন শুভেন্দু। অথচ বিজেপি বলেছিল, শুভেন্দু চোর। বিজেপিতে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত তোলাবাজ ভালো হয়ে গেল। জাস্টিস গাঙ্গুলিকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, ব্যক্তিগত প্রচারের স্বার্থে তিনি রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছেন। বিচারপতি বলছেন, মাথাকে ধরতে হবে, আর বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসও বলছে মাথাকে ধরতে হবে। তাহলে এদের আঁতাত রয়েছে বলবো না কেন?
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: 'সরকার ভাঙার চক্রান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর', বিস্ফোরক মমতার শাহের পদত্যাগ দাবি