কলকাতা: অনির্দিষ্টকালের নির্জলা অনশনের হুমকি দিলেন কুণাল ঘোষ। লিখিত এক বিবৃতি দিয়ে কুণাল ঘোষের নিশানায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও রয়েছেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এ ধরনের নাম স্পর্শ না করে যদি তাঁকে এবং দু তিনজনকে আটকে রাখার চেষ্টা হয়, তবে তিনি অনশন করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদালতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম আগেই তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। এবার বিবৃতিতে লিখলেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর নাম। কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ২০১২ সালে তত্কালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব একটি কর্মসূচিতে কর্পোরেট পার্টনার হিসেবে বহু চিটফান্ডের অর্থ সাহায্য নিয়েছেন। কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, যিনি নিজের কর্মসূচিতে বহু চিটফান্ডের টাকা নেন, তিনি কেন 'চিটফান্ডের ভাবমূর্তি' উজ্জ্বল করার ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত হবেন না? পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, অন্য চিটফান্ডগুলিকে ঘর গোছাতে সময় দেওয়া হচ্ছে? তদন্তে যত বিলম্ব, তত তথ্যপ্রমাণ নষ্ট।


বিবৃতিতে কুণাল ঘোষের অভিযোগ, তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী স্বয়ং যেভাবে রাস্তায় নেমেছেন তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। বহু প্রভাবশালীকে ধরলে রাজনৈতিক অশান্তি হতে পারে ভেবে সিবিআই কয়েকজন দোষীকে নাও ধরতে পারেন। কুণালের নিশানায় বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সেন কৃষ্ণা চক্রবর্তীও। চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন,  


বিধাননগর পুরসভার চলচ্চিত্রোত্সবের নৈশভোজ আয়োজনে সুদীপ্ত সেনের স্পনসরশিপ নিয়ে ছিলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।  গোটা শহরে যে হোর্ডিং ছিল তার অনেকটাই সারদার খরচে। স্বামী সমীর চক্রবর্তীর জেরা ঠেকাতেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।


 বিবৃতির শেষে কুণাল ঘোষের হুমকি,  যদি তদন্ত প্রভাবিত করতে রাজনৈতিক অপচেষ্টা অব্যাহত থাকে এবং সিবিআই সেই চাপে শুধু তাঁকে এবং আরও ২-৩ জনকে আটকে রেখে বড় নামগুলিকে স্পর্শ না করে, তাহলে তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্জল অনশন শুরু করব।