নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিবারের ইচ্ছে সত্ত্বেও, অঙ্গ দান করা গেল না বছর চোদ্দোর সৌত্রিক ভট্টাচার্যের। আইনি গেরো আর পরিকাঠামোর অভাবে থমকে গেল পরিবারের ইচ্ছে। ভাই আর ফিরবে না। তাই, বাকিদের মধ্যে ভাইকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন সৌত্রিকের দাদা দীপায়ন ভট্টাচার্য। কিন্তু, হল না। আইন আর সময়ের গ্যাঁড়াকলে প্রতিস্থাপন করা গেল না সৌত্রিকের অঙ্গ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৭ অক্টোবর জলে ডুবে যায় নবম শ্রেণির সৌত্রিক। সঙ্কটজনক অবস্থায় সল্টলেকের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছিল। মঙ্গলবার ভোরে মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়। পরিবারের ইচ্ছে ছিল আরও অনেকের মধ্যে সৌত্রিককে বাঁচিয়ে রাখার। কিন্তু, হল না। 


- অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে গেলে রোগীর ব্রেন ডেথ ঘোষণা করতে হবে। 
- তারপর চিকিত্সকদের একটি কমিটি তৈরি করতে হয়।
- সেই কমিটিতে ৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক ও ৩জন সরকারি চিকিত্সকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। 
- ব্রেন ডেথ ঘোষণার আগে দু'টি রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, যার জন্য কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা সময় দরকার। 


এতো গেল, আইনি জটিলতা। এর পাশাপাশি রয়েছে, এরাজ্যের হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোর খামতিও। হাসপাতালের বদলে স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত অধিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সৌত্রিকের পরিবার। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের লাইসেন্স রয়েছে, এমন হাসপাতালগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সময় নষ্ট হয় অঙ্গ গ্রহীতাদের খুঁজে বের করতেও। শেষপর্যন্ত সৌত্রিকের কর্নিয়াটুকুই সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। আর এত টানাপোড়েনে বেরিয়ে যায় বহমূল্য সময়।
আর একটা মৃত্যু প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল অঙ্গ প্রতিস্থাপনে এরাজ্যের পরিকাঠামো কতটা উন্নত? 


আরও পড়ুন, মশা মারতে কামান দাগা হল পাতালপুরে