নিজস্ব প্রতিবেদন : শোভন-বৈশাখীর (Sovan Chatterjee) সোমবারের মিছিলের অনুমতি দিল না পুলিস। লালবাজারের তরফে চিঠি দিয়ে মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, "৭০টি গাড়ি, এত বড় রুট, এত মানুষ। তার উপর আবার সোমবার।" বলা হয়েছে, "এত বড় রুট, এত গাড়ি, মানুষ নিয়ে মিছিল করলে কলকাতা অবরুদ্ধ হয়ে যাবে। সেটা ক্লিয়ার করতে করতে রাত হয়ে যাবে।" এই সব কারণেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, আলিপুর থেকে মুরলীধর লেন স্ট্রিটে রাজ্য বিজেপির সদর দফতর পর্যন্ত মিছিল করার কথা ঘোষণা করে বিজেপি (BJP)। শোভন-বৈশাখীর (Sovan Chatterjee) নেতৃত্বে এই মিছিলের রুট নিয়ে প্রথমেই আপত্তি জানানো হয় পুলিসের তরফে। তার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব নির্ধারিত রুটের খানিকটা পরিবর্তনও করে বিজেপি। মিছিলের নতুন রুট স্থির করে পাল্টা মেইল করা হয় বিজেপির তরফে। দেখে নিন বিজেপি প্রস্তাবিত রুট-



কিন্তু শেষপর্যন্ত মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার পথেই হাঁটল লালবাজার। মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার প্রসঙ্গে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। ফোনে Zee ২৪ ঘণ্টাকে সায়ন্তন বসু বলেন, "লজ্জাজনক ও অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। বিজেপি মিছিল করলে কখনওই পুলিস অনুমতি দেয় না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রচুর লোক নিয়ে মিছিল করেন, তখন সেই মিছিলের অনুমতি পুলিস দেয়। প্রয়োজনে অনুমতি ছাড়াই কালকের মিছিল হবে।"


উল্লেখ্য, একুশের ভোটের আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baisakhi Banerjee) উপরে একটি বড় দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য BJP। শোভনকে কলকাতার পর্যবেক্ষক ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বর এই ঘোষণা করেন খোদ রাজ্য বিজেপি সভাপতি। আর সেই ঘোষণার পরই এবার গেরুয়া পতাকা হাতে রাস্তায় নামার কথা শোভন ও বৈশাখীর। মিছিলের আগে আজ রাতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গোলপার্কের বাড়িতে জরুরি বৈঠকেও বসছে কলকাতা কোর কমিটি।


আরও পড়ুন, MIM-এর সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত : আব্বাস, রাজনীতির কল্কে এখানে পাবে না: ত্বহা