ওয়েব ডেস্ক: একদা উত্তর কলকাতার শহরতলি বরানগর। গত কয়েক বছর ছোঁয়া লেগেছে নগরায়নের। একের পর এক হাইরাইজের দৌলতে এখন এ অঞ্চলে জমির দাম বিশাল। বরানগরের প্রৌঢ়া খুন কাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে সেই কয়েক কোটি টাকার জমিই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নয় নয় করে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। সম্পত্তির লোভেই প্রৌঢ়ার ওপর দিনের পর দিন অত্যাচার। বৃদ্ধাকে নির্যাতনের তালিকা থেকে বাদ যায়নি কেউই। ছেলে, মেয়ে, বৌমা, নাতি। সকলেরই লোভ ছিল পরিবারের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির ওপর।


কী কী সম্পত্তি ছিল তাঁর-


১) ৫ কাঠা জমির ওপর দোতলা বাড়ি।


২) ১ কাঠা জমি।


৩) লেদ কারখানা।


৪) ৫ ঘর ভাড়াটে।


আরও পড়ুন সম্পত্তির লোভে পুত্রবধূ ও নাতির হাতে প্রৌঢ়া খুন


মাধবী জানার স্বামী হরিপদ জানার তিন মেয়ে এক ছেলে। ছেলে দেবাশিস জানা। তিন মেয়ে রত্না শাসমল, দোলা ও সোমা প্রামাণিক। ২০০৮ সালে মৃত্যু হয় হরিপদ জানার। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন এক কাঠা জমি ছোট মেয়ে সোমা প্রামাণিকের নামে উইল করে দিয়ে যান হরিপদ জানা। তার জেরেই সোমার সঙ্গে বিবাদ বাধে ছেলের বউ শিখা জানা ও নাতি দেবাঙ্গন জানার। বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়ার জন্য সকলেই মায়ের ওপর চাপ দিত। সম্পত্তির মালিকানা আদায়ে প্রায়ই মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হত ছেলে, মেয়ে ও পুত্রবধূর।


আরও পড়ুন কলকাতা পুলিসে নজিরবিহীন বদলি, ৭৯ জনকে পাঠানো হল জেলায়


বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ৫ কাঠা জমির ওপর যে বাড়ি সেটি আবার নিজের বৌমা ও নাতির নামে উইল করে দিয়ে গিয়েছিলেন নিহত প্রৌঢ়ার স্বামী হরিপদ জানা। তা নিয়েও ছিল ননদ-বৌদির মন কষাকষি। বাকি সম্পত্তির মালিক কে হবেন তা নিয়ে ছেলে দেবাশিসের সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত দেবাশিসবাবুর স্ত্রী ও ছেলের। সম্পত্তিকে ঘিরে লোভ, সেই লোভেরই চরম পরিণতি প্রৌঢ়া খুন। যার নেপথ্যে ছেলে, নাতি, বৌমা সকলেই। এমনটাই বলছেন প্রতিবেশীরা।