কমলিকা সেনগুপ্ত : জোড়া ফুল থেকে খসে পড়েছে মকুল। পঞ্চমীর সকালেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুকুল রায় সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁর দলত্যাগের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এবার চিঠি দিয়ে পাকাপাকিভাবে দল ছাড়লেন মুকুল রায়। আর সেই চিঠির ছত্রে ছত্রে রইল তীক্ষ্ণ শ্লেষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সেই চিঠি, শেষ চিঠি।


দলনেত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মুকুল লিখেছেন, "সংবাদপত্র থেকে জানলাম যে, আমাকে দলের ওয়ার্কিং/এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কিন্তু দলের তরফ থেকে আমাকে এখনও কিছুই জানানো হয়নি।" আর তারপরই দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার এই সাংসদ জানিয়েছেন, "আমি আজ (২৫ সেপ্টেম্বর'১৭) দল ছেড়ে দিচ্ছি এবং ওয়ার্কিং/এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যপদও ত্যাগ করলাম "।


এদিকে রাজনৈতিক মহলে মুকুল রায়ের এই চিঠি নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে আলোড়ন। অনেকেই মুকুলের এই চিঠিকে ব্যাখ্যা করে বলছেন যে, শেষ বেলাতেও দলের প্রতি শ্লেষ ব্যক্ত করলেন কুশলী মুকুল রায়। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তৃণমূলের নথিতে কোনও পদেই উল্লিখিত হয়নি মুকুল রায়ের নাম। পরবর্তীকালে কাগজ পড়ে তিনি জানতে পারেন সে কথা এবং এটাও জানেন যে, তাঁকে দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। অথচ দলের পক্ষ থেকে প্রথামাফিক তাঁকে একথা জানানো হয়নি। কিন্তু তিনি মুকুল রায়, সর্বদা খাতায়-কলমে নিয়ম মেনে চলেন। তাই তাঁর দলত্যাগের কথা তিনি সরকারিভাবে দলনেত্রীকে চিঠির মাধ্যমে জানালেন।


গতকাল অর্থাত্ পঞ্চমীর দিন দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে, পুজোর পরে রাজ্যসভার সাংসদ পদেও ইস্তফা দেবেন এবং তখনই জানাবেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে তাঁর বিচ্ছেদের কারণ। আজ, ষষ্ঠীর সকালে বেলুড়মঠে গিয়েছেন মুকুল রায়। অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক জীবনে এত বড় সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলে এবার ঠাকুরের শরণ নিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একদা নাম্বার টু।


আরও পড়ুন- পুজোর পর কি তৃণমূলকে ভাঙতে চলেছেন মুকুল? প্রশ্ন লাখ টাকার