নিজস্ব প্রতিবেদন:  তিনটি সার্কুলার ঘিরে কলকাতা পুরসভা অন্দরে কর্মী মহলে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। কর্মীমহলে তৈরি হওয়া ক্ষোভের পিছনেও রাম ও বামের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উপস্থিতির হার নিয়ে কর্মীমহলে তৈরি হওয়া জল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা রোস্টার মেনে অ্যাটেনডেন্সের কথা বলছি। আলাদা কিছুই বলছি না। আমরা কর্মী না আনলে কলকাতা পরিষ্কার হবে না।" লকডাউনে আসতে না পারার কারণে এক কর্মীর মাইনে কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বেতন কাটার বিষয়টা আমি জানিনা, খোঁজ নিয়ে দেখবো"
তবে পুরসভার অন্দরে তৈরি হওয়া কর্মীদের ক্ষোভের পিছনে বিজেপি ও বামেদের উস্কানি আছে বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সমস্যার সূত্রপাত মূলত তিনটি সার্কুলারকে ঘিরে।
১. একশো শতাংশ হাজিরার নির্দেশ।
পুরসভার এই সার্কুলার ঘিরে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার ৭০ শতাংশ হাজিরায় কথা বলছে, সেক্ষেত্রে পুরসভা কীভাবে এই নির্দেশ অমান্য করে একশো শতাংশ হাজিরার সার্কুলার জারি করে? এতে কি আদৌ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে? স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হবে।
২. শিক্ষা দফতরের ১০ জনের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ ।
পুরসভার কর্মীদের অভিযোগ, লকডাউনে কেন কাজে আসা হয়নি, এই যুক্তি দেখিয়ে শিক্ষাদফতরের ১০ জন কর্মীর বেতন বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে। তাঁদের প্রশ্ন, লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির কথা অমান্য করে কীভাবে তাঁরা কাজে আসবেন?


 

আরও পড়ুন: হিমাচলে মধুচন্দ্রিমা! লকডাউনে আটকে পড়া বাংলার দম্পতি সাক্ষী থাকলেন দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার
৩. টাকা তুলতে মরিয়া পুরো প্রশাসনের নির্দেশিকা
 ট্রেজারিতে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা নিজ দায়িত্বে কলকাতায় ঘর ভাড়া নেবেন। যাতে ৮ তারিখ থেকে কোনও ভাবেই অফিসে আস্তে অসুবিধা না হয়। যেকোনও মূল্যে অফিস আসতেই হবে।
কর্মীদের দাবি, এই অবস্থায় কে ঘর ভাড়া দেবে? কেইবা এই পরিস্থিতে আমাদের থাকতে দেবেন? যাদের কর্মস্থলে আসার একমাত্র উপায় ট্রেন,  তাঁরা আসবেন কীভাবে?