কলকাতা: হারিয়ে যাওয়া লাল ঝাণ্ডাগুলো আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করছে শহরের আনাচে কানাচে। সংশোধনবাদী রাজনীতির পথে হেঁটে রাজনৈতিক লড়াইয়ে ভরাডুবি হচ্ছে বামেদের। কেরালা আর ত্রিপুরা ছাড়া লাল ঝান্ডা উড়ছে না কোথাও। যে পশ্চিমবঙ্গ একদিন বাম আন্দোলনকে পথ দেখিয়েছে সেই বঙ্গেই নৌকাডুবি। একাংশ মনে করছেন বামেরা আত্মঘাতী। বাম শরিকদের কোন্দল বোঝাপড়ায় ফাটল, এক সময়কার 'শ্রেণী শত্রু' কংগ্রেসের হাতে হাতুড়ি ধরিয়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে বাংলার বামেরা। ৩৪ বছর শাসক থাকার পর এখন বাংলায় 'থার্ড বয়' লালঝাণ্ডাধারীরা। সমালোচনা আত্মসমালোচনার পর এবার বামেরা জঙ্গি আন্ডলনে নামবেন বলেই ঠিক করেছেন। বলা হত যেকোনো রাজনৈতিক দলেরই শেষ এবং সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র হল ধর্মঘট। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলো মিলে ২ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র নিয়ে লড়াইয়ে হাজির হতে চলেছে। সংশোধনবাদী নয়, একেবারে আন্দোলনের জঙ্গিপথ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাসের চাকা, ট্রেনের চাকা, ট্রামের চাকা, লঞ্চের পাখা- ২ সেপ্টম্বর চলবে বা। বনধ্‌। চলমান গোটা ভারতকে থমকে দিতেই শ্রমিকেরা একজোটে এই সারা ভারত ধর্মঘটে সামিল হবে বলেই দাবি বাম শ্রমিক সংগঠনগুলোর। এই সারা ভারত ধর্মঘটে কংগ্রেসের সমর্থনও চাইছে বামেরা। মূলত মোদী সরকার বিরোধী সব ধর্ম নিরেপেক্ষ শক্তিকেই এই ধর্মঘটে সামিল করেত চাইছে বামেরা। 


* শ্রমিকদের নুনুতম বেতন ১৮ হাজার টাকা করা
* রাষ্ট্রায়ত্ব কলকারখানারা বেসরকারীকরণ করা চলবে না 
* রেল, ব্যাঙ্ক, বীমার বেসরকারীকরণ করা চলবে না
* খুচরো ব্যবসায় বিদেশী বিনিয়োগের মত বিষয়গুলো সামনে রেখেই এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলো।