ওয়েব ডেস্ক: কথা চলছিল। তবে শুধু কথাই। দাবি, আলোচনা, ফিসফিসানি। কখনও সিপিএমের রাজ্য নেতারা প্রকাশ্যেই জোটের কথা বলছেন, কংগ্রেসের নাম উচ্চারণ না করে। কখনও আবার কংগ্রেস বলছে জোটের কথা। কিন্তু এবার স্পষ্ট হয়ে গেল নিচুতলায় জোটের ছবি। ধর্মতলায় অধীর চৌধুরীর সভায় লাল ঝাণ্ডা হাতে হাজির সিপিএম কর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পড়ুন ফের সতর্কবার্তার মুখে সৌগত রায়


দূর থেকে তিরঙ্গা পতাকার মিছিল। তার সঙ্গে আকাশ কাঁপানো স্লোগান। কখনও আবার অধীর চৌধুরীর নামে জয়োধ্বনি। ওয়াই চ্যানেলের মুখে মিছিল পৌছতেই দেখা গেল অভিনব দৃশ্য। কংগ্রেসের তিরঙ্গা পতাকার মাঝখানে রীতিমতো উঁকিঝুঁকি মারছে বেশ কিছু লাল পতাকা। ভাল করে দৃষ্টি দিতেই দেখা গেল পতাকার গায়ে লেখা সিপিআইএম। কান্দির কাউন্সিলর ও তাঁর স্ত্রীকে পাশে নিয়ে মঞ্চে তখন বসে অধীর চৌধুরী। একদৃষ্টে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁর স্বপ্নের,  সাধের জোটের দিকে। এখনও মাথা নাড়াননি রাহুল গান্ধী। শুনেছেন। তবে এখনও বলেননি কিছুই। কিন্তু একনাগাড়ে বলে চলেছেন রাজ্য নেতারা। লাল পতাকা হাতে যাঁরা এলেন, তাঁরা কারা? সিপিএমের পতাকা নিয়ে কংগ্রেস কর্মীরাই কি মিছিলে এলেন? এক্কেবারে না।


শুধু কলকাতার হৃদপিণ্ডেই নয়, ঝাণ্ডার জোট চোখে পড়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। অধীরের সভায় কেন এলেন না কংগ্রেসের প্রথম সারির অধিকাংশ নেতা? সে সব এখন গৌণ। জোট নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখনই একসঙ্গে শহরের রাজপথে মিছিলে কংগ্রেস-সিপিএম। কান্দিকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলায় সভা করেন অধীর চৌধুরী। সেখানেই লাল পতাকা নিয়ে হাজির হন সিপিএমের কয়েকজন কর্মী। অধীর চৌধুরীর দাবি, বাম-কংগ্রেস তলায় তলায় জোট হয়ে গিয়েছে। তাই কংগ্রেসের সভায় সামিল হয়েছে সিপিএম। মিছিলে সামিল হওয়া সিপিএম কর্মীদের দাবি, জোট হয়েই গিয়েছে। তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এবার একজোট হয়েই লড়াই করতে হবে।