ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে বিপিএমও-র জাঠায় গণসংগঠনগুলির নজরকাড়া অংশগ্রহণ। সাংগঠনিক দিক দিয়ে দুর্বল জেলাগুলিতেও অংশগ্রহণের হার দেখে আশা বাড়ছে বাম নেতৃত্বের। আরও গণসংগঠনকে এক ছাতার তলায় আনার উদ্যোগ। সিঙ্গুর থেকে শালবনির পদযাত্রায় উপচে পড়েছিল ভিড়। একশো তেরোটি গণসংগঠনকে নিয়ে তৈরি বিপিএমও-র রাজ্যজুড়ে জাঠা কর্মসূচিও অনেকটাই সফল। সাংগঠনিক দিক থেকে দুর্বল জেলাগুলিতেও অংশগ্রহণ ছিল নজরকাড়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পদযাত্রায় ভাল অংশগ্রহণ মূলত দুই জেলার। হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুর। বেশ কয়েকটি গণসংগঠনের পারফরমেন্স নজরকাড়া। তাদের মধ্যে প্রথমেই থাকবে কৃষকসভা। সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ছাত্র-যুব এবং ট্রেড ইউনিয়নগুলির অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্য। বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে হবে। উজ্জীবিত করতে হবে গণসংগঠনগুলিকে। জাঠায় অংশগ্রহণ নিয়ে জেলাভিত্তিক রিপোর্টের প্রাথমিক পর্যালোচনা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যালোচনা রিপোর্ট জমাও পড়েছে আলিমুদ্দিনে। ফের কোমর বেঁধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার পালা। এসইউসিআই, সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর মতো গণসংগঠনগুলিকে বিপিএমও-র প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা যায় কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে আলিমুদ্দিনে।


তবে সিপিআইএমএল (লিবারেশন) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আন্দোলনের অভিমুখ যদি শুধুই বিধানসভা ভোট হয়, তা হলে তারা এই প্ল্যাটফর্মে নেই। ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন হলে তবেই তারা এই প্ল্যাটফর্মে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, তারা চায়, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট  নিয়েও সিপিএমের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। এসইউসিআই-ও লিবারেশনের সঙ্গে একমত। তাহলে কি আন্দোলনের অভিমুখ বদলাতে হবে বিপিএমওকে? কিন্তু জাঠার সাফল্যের পর তা কি আদৌ সম্ভব? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।