ওয়েব ডেস্ক: পুলিস-বিক্ষোভকারী খণ্ডযুদ্ধ। ইটবৃষ্টি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার গঙ্গার দুপারে। ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ কান্তি গাঙ্গুলি-বিমান বসু। ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নে ঢুকতে গিয়ে গ্রেফতার সুজন চক্রবর্তী-অশোক ভট্টাচার্য-আনিসুর রহমান সহ ২৪জন বাম বিধায়ক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নবান্ন অভিযান। দীর্ঘদিন পর অ্যাকশনে বামেরা। ধুন্ধমার গঙ্গার দুপারে। কোথাও ইটবৃষ্টি, কোথাও পুলিসের লাঠি।কোথাও পুলিসের মারে রক্ত ঝরল আন্দোলনকারীদের। চলল জল কামান-ফাটল কাঁদানে গ্যাসের সেল।


শুরুটা অবশ্য এমন রণংদেহি ছিল না। ঘড়িতে তখন একটা। পুলিসকে বিভ্রান্ত করে নবান্ন ঢোকার চেষ্টা করেন সুজন চক্রবর্তী-অশোক ভট্টাচার্য-আনিসুর রহমানরা। কালো কাচ ঢাকা গাড়িতে এলেও নবান্নের উত্তর গেটে CPM বিধায়কদের আটকে দেয় পুলিস। গ্রেফতার হন ২৪জন বাম বিধায়ক। বাম বিধায়কদের গ্রেফতারের খবর ছড়াতেই আগুনে ঘি পড়ে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট জড়ো বাম কর্মী সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। 


 



গোলমালের আশঙ্কা ছিল।গান্ধীমূর্তির সামনে তৈরি ছিল পুলিসের ব্যারিকেড। একটার কিছু পর মারমুখি বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা শুরু করে। পুলিসকে লক্ষ্য করে উড়ে আসে পচা ডিম-ইট। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে বহু পুলিস কর্মীর। পাল্টা ইট ছোঁড়ে পুলিসও। কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ার ঢেকে যায় গোটা চত্বর। অশান্তির আঁচ ছড়ায় রানি রাসমনি রোডেও। গান্ধীমূর্তিতে যখন ইট পড়ছে, তখন ধুন্ধুমার চলছে PTS মোড়েও। দীপক সরকার নেতৃত্বে একটি মিছিল বিদ্যাসাগর সেতুর গার্ডরেল ভেঙে এগোনোর চেষ্টা শুরু করতেই পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। অসুস্থ হয়ে পড়েন CPM নেতা কান্তি গাঙ্গুলি। ইট-বোতল-কাঁদানে গ্যাস। পুলিস-বাম সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধে তুলকালাম খিদিরপুরেও। ধুন্ধমারের একই ছবি গঙ্গার ওপারেও। কোনার বেতো মোড়ে কাছে বাম কর্মীদের মিছিল আটকায় পুলিস। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হতেই দুপক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু। পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান ছোঁড়ে পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। ফোরশোর রোডের কাছে বিক্ষোভকারীদের আটকাতে বেপরোয়া লাঠি চালায় পুলিস। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছোঁড়া হয় জলকামান।