কলকাতা: রিলের বজরঙ্গি ভাইজান রিয়েলে। খাস কলকাতার বুকে বউবাজার থানায়। পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশি মহিলাকে নিজের উদ্যোগে দেশে ফেরালেন সাব ইন্সপেক্টর DR ট্যামলং। সন্তানদের কাছে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত জাহিদা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বজরঙ্গি ভাইজানকে মনে আছে? মূক-বধির ছোট্ট মুন্নিকে পাকিস্তান ফেরানোর কসম খেয়েছিলেন? বাস্তবের বজরঙ্গি ভাইজানের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কলকাতায়। বউবাজার থানার সাব ইন্সপেক্টর DR ট্যামলং। বাংলাদেশ থেকে চিকিত্সা করাতে এদেশে আসা জাহিদার কাছে ট্যামলং সত্যিই বজরঙ্গি ভাইজান। 


বাংলাদেশ থেকে চিকিত্সা করাতে এদেশে আসেন জাহিদা। চিকিত্সা করাতে এসে সর্বস্ব চুরি। পাসপোর্ট, ভিসা হারিয়ে অসহায় মহিলা। স্বামী সামান্য ভ্যান চালক। মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে দেখাচ্ছিলেন জাহিদা। ২১ জুলাই আচমকাই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।  মেডিক্যালের বাইরে থেকেই ছিনতাই হয়ে যায় জাহিদার ব্যাগ। ওই ব্যাগেই ছিল তাঁর পাসপোর্ট-ভিসা। 
সঙ্গীসাথীরা আগেই ফিরে গেছেন বাংলাদেশ। অথৈ জলে পড়ে যান নিরক্ষর জাহিদা। 


বউবাজার থানায় সেসময় ডিউটিতে ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর DR ট্যামলং। তাঁকেই সব খুলে বললেন জাহিদা। পাশে দাঁড়ালেন 'ভাইজান' পুলিসকর্মী। বাড়ালেন সাহায্যের হাত। আর পাঁচটা চুরির ঘটনা হয়ে থাকল না জাহিদার কেসটা। নিজের খরচে জাহিদাকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিলেন। ঘুছল সীমান্তের ব্যবধান। দেশে ফিরলেন জাহিদা। ট্যামলংয়ের চেষ্টাতেই দেশে ফিরলেন জাহিদা। দিদিকে বাসে তুলেও দিয়ে গেলেন ট্যামলং। না, এখানেই শেষ নয়। দাদা-বোনের সম্পর্কে যাতে ছেদ না পড়ে সেজন্য কিনে দিয়েছেন একটা মোবাইল ফোনও..অকৃতজ্ঞতার ভাষা হারিয়েছেন জাহিদা।