সন্দীপ সরকার 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের ভিতরে নেশার দ্রব্য ও মোবাইল ফোনের প্রবেশ রুখতে কারারক্ষীদের পর্যন্ত তল্লাশি শুরু করেছিল কারা দফতর। জেলে ঢোকার সময় আপদমস্তক তল্লাশি করা হত কারারক্ষীদের। তার পরও জেলের ভিতর বন্ধ হচ্ছিল না মদ-গাঁজার অনুপ্রবেশ। রোখা যাচ্ছিল না মোবাইল ফোন। কোথা থেকে জেলে এসব ঢুকছে, তদন্তে নেমে 'বড় মাছ'-এর সন্ধান পান কারা দফতরের কর্তারা। শুক্রবার রাতে ফাঁদও পাতা হয় মাপমতো। তাতেই ধরা পড়েন জেলের চিকিত্সক। 


ডাক্তারবাবুর জারিজুরি ফাঁস করতে ময়দানে নামেন খোদ ডিআইজি (কারা) ও আলিপুর জেলের সুপার। শুক্রবার রাতে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় জেলের ২টি ফটকে তল্লাশির দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীদের। বদলে দায়িত্ব নেন খোদ ডিআইজি কারা-র নেতৃত্বে ৮ সদস্যের স্পেশ্যাল টিম। 


নাইট ডিউটির সুযোগে জেলের মধ্যেই রমরমা কারবার ডাক্তারের, আয়ের অঙ্ক চমকে ওঠার মতো


রাত ১০.৪০ মিনিটে ডিউটিতে যোগ দিতে কারাগারে পৌঁছন চিকিত্সক অমিতাভ চৌধুরী। অ্যাপ ক্যাব থেকে নেমে জেলে ঢোকার সময় তাঁর পথ আটকান স্পেশ্যাল টিমের সদস্যরা। চিকিত্সকের সঙ্গে ছিল ২টি ব্যাগ। তাঁকে ও ব্যাগগুলির তল্লাশি হবে বলে জানান স্পেশ্যাল টিমের সদস্যরা। সেখানে তখন হাজির ছিলে জেলের সুপারও। বাধা দিয়ে তাঁদের সঙ্গে বিতণ্ডা জুড়ে দেন অমিতাভবাবু। এর পর রাগে গজরাতে গজরাতে ব্যাগ নিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তখনই তাঁকে ধরে ফেলে ডিআইডি কারার নেতৃত্বে থাকা অন্য দলটির সদস্যরা। 


তল্লাশিতে অমিতাভবাবুর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ লিটার মদ। ঠান্ডা পানীয়ের ২ লিটারের বোতলে ভরা ছিল সেই মদ। এছাড়া মিলেছে ৪ কেজি গাঁজা ও সিম-সহ ৩৫টি মোবাইল ফোন। এছাড়া ডাক্তারবাবুর প্যান্টের চোর পকেট থেকে মিলেছে ১.৪৫ লক্ষ নগদ। ধৃত চিকিত্সককে আলিপুর থানার হাতে তুলে দিয়েছে কারাবিভাগ। 


বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য ৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করবে রাজ্য


কারা বিভাগের কর্তাদের অনুমান, মাদক ও মোবাইল ফোন ছাড়াও জেলের ভিতরে থাকা আসামীদের তোলাবাজির টাকা সংগ্রহ করে জেলে পৌঁছে দিতেন এই চিকিত্সক। জেলের কোন কোন কর্মী অমিতাভবাবুর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে কারা দফতর।