Amit Shah Live: ভবানীপুরে ৫৫ বছরের পুরনো কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন শাহের
Latest Updates
ভবানীপুরে ৫৫ বছরের পুরনো কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারলেন অমিত শাহ। ওয়েলকাম ড্রিংক ছিল তরমুজের রস ও আমপান্না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আতিথেয়তায় ছিল বাঙালি পদ - জিরে ভাত, লুচি, রুটি, কুমড়ো ভাজা, বেগুন ভাজা, ছানার ডালনা, ধোকা, নরম পাকের সন্দেশ, নতুন গুড়ের রসগোল্লা।
ভবানীপুরে বাড়ি বাড়ি প্রচারে অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ।
পড়ে থাকা জমি নিয়ে তৈরি হবে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক। কৃষক, শিল্পপতি ও সরকার বসে জমি অধিগ্রহণ সমস্যার সমাধান করব।
রাজনৈতিক দল বা মিডিয়া, কারও উপরে হামলা হওয়া উচিত নয়।
ভ্যাকসিন কম থাকার অভিযোগ সঠিক নয়। সব রাজ্যই পাচ্ছে। ভোটের নির্ঘণ্ট ঠিক করে নির্বাচন কমিশন।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধান পরিষদ নিয়ে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
২০১৯ সালের পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। তখন শঙ্কা ছিল বিজেপি জিততে পারবে কিনা! ১৮টি আসন জেতার পর সব শঙ্কা দূর হয়ে গিয়েছে।
মিডিয়ার উপরে হামলার ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত নির্বাচন কমিশনের। শীঘ্র উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত। থানার ভিতরে মারা হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের।
ইমাম ভাতা প্রসঙ্গে শাহ: কোনও ধর্মের প্রতি পক্ষপাত করব না। নতুন সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
এ পর্যন্ত আমি বাংলায় তিনটে নির্বাচন দেখেছি। আপনারা স্বীকার করবেন, গত তিনটি নির্বাচনের তুলনায় হিংসা অনেক কম হয়েছে। আর তাই হতাশায় ভুগছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বাংলাতেই শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়নপত্র পেশের অনুমোদন দিয়েছিল হাইকোর্ট। দেশের কোথাও এমনটা হয়নি।
ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গঠনের পর কলকাতা, উত্তরবঙ্গ ও বাংলার সংস্কৃতির বিকাশের জন্যে রোডম্যাপ রয়েছে আমাদের। সুরক্ষিত বাংলার জন্য বাকি ৫ দফায় বিজেপিকে ভোট দিন। সোনার বাংলার নির্মাণের জন্য ভোট দিন বিজেপিকে। অনুপ্রবেশকারী সমস্যার নিরসন করতে পারে আমরাই পারি। এই মমতাই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে সংসদে তিনবার সরব হয়েছিলেন। মানুষ এভাবে বদলে যায়! এই মমতাই একটা সময়ে বলতেন, সিআরপিএফ পাঠান। এখন বলছেন, সিআরপিএফ রিগিং করছে। শরণার্থীদের পুনর্বাসন করব। মোদীজির নেতৃত্বে সোনার বাংলার নির্মাণ করব।
৭০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতাকে জুড়ব। শিলিগুড়িতে তৈরি হবে মেট্রো রেল। চা পার্ক তৈরি হবে। সেখানে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হবে গবেষণার জন্যে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত রাজবংশী ভাষায় পড়াশুনো। আদিবাসীদের পাট্টা।
উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করা হয়েছে। উত্তর বাংলার উন্নয়ন হয়নি। কোচ রাজবংশী, গোর্খাদের কথা ভাবেননি। চা ও তামাক চাষের জন্য কিছু করেননি। উত্তরবঙ্গ বিকাশ বোর্ড স্থাপন করা হবে। নারায়ণী সেনা ব্যাটলিয়ন হবে সিআরপিএফে।
সুন্দরবন, জঙ্গলমহলে, নমশূদ্র ও রাজবংশী - বাংলার সব প্রান্তের মানুষ বিজেপির সঙ্গে। অশোক লাহিড়ি, স্বপন দাশগুপ্ত, বৈজ্ঞানিক গোবর্ধন দাসের মতো কৃতীরা বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়াই করছেন। দেশে জিডিপিতে বাংলার অংশ ছিল ৩০ শতাংশ। সেটাই কমে হয়েছে ৩.৩%। এতেই স্পষ্ট বাংলার স্থিতি কতটা খারাপ! আমাদের ইস্তাহারে সর্বক্ষেত্রের উন্নয়নের কথা রয়েছে। সোনার বাংলার আর্থিক পুনরুত্থান টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। বিনিয়োগ আনার জন্য সরল পদ্ধতি আনব।
কলকাতা হবে দেশের সাংস্কৃতিক রাজনীতি। শহরের সব গলিতে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। কমবে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য।
একটা সময়ে সিঙ্গাপুরের ডেভেলপমেন্ট মডেল ছিল কলকাতা। এই শহর সিটি অব জয় তো থাকবে। কলকাতা সিটি অব ফিউটার হবে। কলকাতার পরিকাঠামোর উন্নতি করা হবে। কলকাতাকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ সিটি করব। বাংলার সংস্কৃতির যা হাল দিদি করেছন! নোবেল প্রাইজের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরস্কার। এবং অস্কারের মতো সত্যজিৎ রায় পুরস্কার চালু হবে। ২২০০০ কোটি টাকার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড গঠন। আগামী ৫ বছরে আর্থিক রাজধানী করার চেষ্টা করব। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের পুনর্জীবন। কলকাতার সকল বহুতলে অডিট করা হবে। মেট্রো, লোকাল ট্রেন ও বাসের জন্য একটাই কার্ডের সূচনা করা হবে। ১০টি বহুতল পার্কিং প্লেস। হুগলি রিভারফ্রন্ট করা হবে। কালীঘাটের গঙ্গাকে স্বচ্ছ করা হবে।
সংখ্যালঘুদের একজোট হওয়ার আর্জি করেছেন দিদি। এতে স্পষ্ট উনি সংখ্যালঘু ভোটও হারাচ্ছেন। নইলে এই ধরনের আবেদন করবেন কেন! এসবের জায়গায় হারের কারণ বিশ্লেষণ করুন, কেন আপনার বিরুদ্ধে বাংলার জনতা? আইনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এখানে অনুপ্রবেশকারীদের অবাধ প্রবেশষ। কলকাতার বাঙালিবাবুরাও চিন্তা করছেন কলকাতার পরিস্থিতি কী হবে! মহিলারা নিরাপদ নন। মহিলাঘটিত অপরাধে ১ থেকে ৫ নম্বরে দাঁড়িয়ে বাংলা। তোলাবাজি সিন্ডিকেট ও দুর্নীতি সীমা পার করে ফেলেছে। তৃণমূল কীসের ভিত্তিতে ভোট চাইছে? মোদী সরকারের জনকল্যাণ প্রকল্প নিচুতলায় পৌঁছতে দেন না মমতা।
আমাদের কর্মীদের উপরে লাগাতার হামলা হচ্ছে। কাল ভবানীপুর পুলিস থানায় ছিলেন কর্মীরা। তখনও হামলা হয়েছে। হামলার নিন্দা করে একটাও মন্তব্য করেননি কেউ। মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ। রাজনৈতিক কর্মীদের উপরে হামলা হলে সকলে মিলে নিন্দা করে। কিন্তু তৃণমূল তা করেনি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিচ্ছেন একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, একটা দলের সুপ্রিমো। এমন কথা আমার গোটা রাজনৈতিক জীবনে কখনও শুনিনি। অরাজকতার সৃষ্টি করতে চাইছেন মমতা। এটাও হতে পারে প্রতিবারের মতো রিগিং করে জিততে চাইছেন। উনি অভিযোগ করছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে বিরক্ত করা হচ্ছে। আমি বলে দিই, নির্বাচনের সময় আধা সমারিক বাহিনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। নির্বাচন কমিশন নিয়ন্ত্রণ করে।
তৃণমূলের আচরণ ও ব্যবহারের তৃণমূলের হতাশা প্রকট হচ্ছে। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে এমন মন্তব্য দেখিনি।
শুরুতেই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বাংলার মানুষকে। প্রথম তিন দফায় অপ্রত্যাশিত সমর্থন পেয়েছি। ৬৩-৬৮ আসন পেতে চলেছে বিজেপি।
সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহ।