Live: শোনা যাচ্ছে সাগরেও আঘাত হানতে পারে Yaas : মমতা
বুধবারই রাজ্যে আছড়ে পড়বে ঘূণিঝড় ইয়াস। তার আগেই উপান্ন থেকে ঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের কাজের তদারকি করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবারই রাজ্যে আছড়ে পড়বে ঘূণিঝড় ইয়াস। তার আগেই উপান্ন থেকে ঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের কাজের তদারকি করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখনওপর্যন্ত বিপজ্জনক এলাকা থেকে ৯ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের রাখা হয়েছে ৮ হাজার ফ্লাড সেন্টার ও স্কুলে। ত্রাণ উদ্ধারকাজে লাগানো হয়েছে ৭৪ হাজার কর্মচারীকে।
Latest Updates
খুব জরুরি হলেও ফোনে যদি কাজ সারা যায় সেটা দেখুন। দুপুরে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা। কিন্তু ল্যান্ডফলের পরও তার এফেক্ট থাকে। সেটা একটু দেখে নেবেন।
আজ মাঝরাত থেকেই হয়তো ঝড়জল বাড়বে। আবহাওয়াবিদদের কথা মেনে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আজ রাতে নবান্নে সবাই আছি। আমাদের ওয়্যাররুম চলবে। কর্মীরা সবাই কাজ করছে। ডিএম, বিডিও, এসপি সবাই কাজ করছেন। হোমগার্ড, সিভিক সবাই কাজ করছেন। আপনাদেরও সহযোগিতা চাইছি।
প্রশাসন সহ ৩ লাখ মানুষ ঝড় মোকাবিলায় কাজ করছেন। সবাই নিজের নিজের জায়াগায় কাজ করে চলেছেন
এখানে রয়েছেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের প্রিন্সপ্যাল সেক্রেটারি তাঁকে বলব সর্বশেষ কিছু ডেভলপমেন্ট থাকলে বলতে।
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের প্রিন্সপ্যাল সেক্রেটারি বলেন-
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ঝড়ে গতি কিছুটা কমেছে। কাল বারোটার মধ্যে ল্যান্ডফল হতে পারে। এই সময়ে একটা হালকা টর্নেডো তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন ওঁরা।
মমতা বলেন: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পকেটে পকেটে টর্নোডো হচ্ছে। এতে ক্ষতিও হচ্ছে। সবাইকে বলব বাড়িতেই থাকুন। এতে আমরা কিছু করতে পারব না। আগে ঝড়টা চলে যেতে দিন। আমরা আছি। সবাইকে সাহায্য করা হবে।
সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে আসল আঘাতটা হবে। এখনওপর্যন্ত এই খবর আমাদের কাছে রয়েছে।
আতঙ্কের কারণ নেই। বিদ্যুতের ব্যাপারটা একটু দেখে রাখতে হবে। যত কম বিদ্যুত ব্যবহার করা যায় ততই ভালো।
কাল সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে যেহেতু ল্যান্ডফল হবে তাই সেই সময়ে বাড়ি থেকে না বের হওয়াই ভালো। নিজেদের একটু সতর্ক থাকতে হবে।
প্রার্থনা করব বেশি কিছু যাতে না হয়।
শোনা যাচ্ছে সাগরেও আঘাত হানতে পারে ইয়াস।
আমরা তৈরি আছি। এখনও পর্যন্ত ১১ লাখ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের রিলিফ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাত যত বাড়বে ঝড়ের পরিধিটাও বাড়বে।
হালিশহরে একটা দেড় মিনিটের একটা টর্নেডো হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও চুঁচুড়াতেও একটা টর্নোডোর মতে হয়েছে।
হালিশহরে ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। লোকাল পঞ্চায়েত বিষয়টি দেখছে। ক্ষতিগ্রস্থদের এলাকার একটি স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৪-৫ জনের সামান্য আঘাত লেগেছে।
চুঁচুড়াতে যেটা হয়েছে তাতে ৪০টি বাড়ি-দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তড়িতাহত হয়ে পান্ডুয়াতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আমাদের ক্ষমতা মতো চেষ্টা করছি। অন্যান্য যেসব জায়গা থেকে সাহায্য পাওয়া যায় সেইসব জায়গায় কথা বলে রেখেছি। প্রয়োজনে যেখানে দরকার হবে সেখানে সেনা নামানো হবে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছেন ৭৪ হাজার অফিসার ও কর্মচারী। এছাড়াও রয়েছেন ২ লাখ পুলিস ও হোমগার্ড। বিদ্যুত, গাছকাটার টিম তৈরি রয়েছে।
দুর্যোগ ঠেকানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। কিন্তু দুর্গতদের উদ্ধারের যথাসাধ্য ব্যবস্থা আমরা করেছি। উপকূলবর্তি এলাকায় যারা থাকেন তাদের প্রায় প্রতিবছরই এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। যাই হোক সবাই সতর্ক থাকুন।
দুর্গত মানুষদের রাখা হয়েছে ৪ হাজার ফ্লাড সেন্টারে। এছাড়াও বহু স্কুল নেওয়া হয়েছে।
ইয়াস মোকাবিলায় রাজ্যের ব্লক স্তরে তৈরি হয়েছে ওয়্যাররুম। ওইসব ওয়্যাররুমগুলি তদারকি করবেন আইএএস পর্যায়ের অফিসাররা।
দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনার ডিএমদের সঙ্গে কথা বলেছি।
আজ ও কাল নবান্নতেই থাকব।
কাল ল্যান্ডফল হলে বোঝা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত। ভোর রাত থেকে বৃষ্টি বাড়বে। কেউ বলছে সকালের পরে, কেউ বলছে দুপুরে ল্যান্ডফল হবে।ইতিমধ্যেই গঙ্গার জল বেড়ে গিয়েছে। দেখলেই বুঝতে পারবেন।
ফিরহাদ বাড়ি থেকে কাজ করছে। অতীন, নয়না থাকবে উত্তরের তদারকিতে। অরূপ টালিগঞ্জের দিকটা দেখবে। তারক সিংকে খদিরপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দুর্গত মানুষদের রাখা হয়েছে ৪ হাজার ফ্লাড সেন্টারে। এছাড়াও বহু স্কুল নেওয়া হয়েছে।
ইয়াস মোকাবিলায় রাজ্যের ব্লক স্তরে তৈরি হয়েছে ওয়্যাররুম। ওইসব ওয়্যাররুমগুলি তদারকি করবেন আইএএস পর্যায়ের অফিসাররা।
দীঘা-শঙ্করপুরে ইতিমধ্যেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। ঝড় হবে রাজ্যের ২১ জেলায়। এনিয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। এর পরেও একটা সমস্যা হল ভরা কোটালে জল ফুলে উঠেছে।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যের উপকূলবর্তী ও নীচু এলাকাগুলি থেকে ৯ লাখ লোককে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। আরও লোককে সরানো হবে। আমপানের সময় ১০ লাখ মানুষকে সরানো হয়েছিল।