Live: অবসর আলাপনের, কাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা, জানালেন Mamata
Latest Updates
পশ্চিমবঙ্গ বিশ্বাস করে, চিত্ত যেথা ভয় শূন্য.... এটা আমাদের নৈতিক জয়। কখনও আমরা মাথা নত করি না।
কোভিড মোকাবিলায় বিজেপি ব্যর্থ। অর্থনৈতির বিপর্যয় চলছে। বিনামূল্যে টিকা দিতে পারছেন না নরেন্দ্র মোদী। ভ্যাকসিন থেকে জিএসটি নিচ্ছে। তাঁদের একটাই কাজ, স্বৈরাচারির মতো কাজ করছে। স্ট্যালিন ও হিটলারের মতো কাজ করছে ওঁরা।
একদিন ওদের পস্তাতে হবে। দিল্লির লাড্ডু বেশি খেয়ে ফেলেছে। ৭ বছরে একটু বেশি হিম্মত বেড়ে গিয়েছে। সকল রাজ্য ও আমলারা এক কাট্টা হোন। বাংলা কখনও হারতে জানে না। মাথা উঁচু করে চলে। চিত্ত যেথা ভয়শূন্য... তুমি জানতেই না তোমার চিঠি আসার আগে সে রিটায়ার করে নিয়েছে।
১ জুন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর মেয়াদ হবে ৩ বছরের। মুখ্যমন্ত্রীকে নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেশ দেবেন তিনি। আড়াই লক্ষ বেতন ও অন্যান্য ভাতা দেওয়া হবে তাঁকে।
মিস্টার বিজি প্রাইম মিনিস্টার, মিস্টার মন কি বাত প্রাইম মিনিস্টার কী চান আপনি? আমাকে শেষ করতে চান!যতদিন মানুষের সমর্থন আছে পারবেন না। সকল রাজ্য সরকার, সিনিয়র নেতা, সব রাজনৈতিক দল ও আমলা এক জোট হোন। যুদ্ধটা লড়তে হবে। এটা শুধু আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই নয়। শুধুমাত্র ২ জন সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন।
এটা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক। আমলাদের নৈতিকতা ভেঙে দিচ্ছেন। ওরা আমলাতন্ত্রকে আঘাত করতে চাইছে মোদী সরকার? আমলারা কি চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক?
২৪ মে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্র। ২৮ মে রাজ্য সরকারকে বলা হয়,মুখ্যসচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। রাজ্য সরকার সম্মত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বিশাল ভুল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করতে চাইছে।
কোনও আলোচনাই করেনি। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কারণ আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ করেন না। আপনারা হেরেছেন। বাংলায় আপনারা কোথাও নেই। আপনাদের জনাদেশ স্বীকার করে নেওয়া উচিত। শপথ নেওয়ার একদিনের মধ্যে হিংসার অভিযোগ করছেন। আমি হিংসা দেখিনি। প্রমাণ থাকা উচিত। মানবাধিকার কমিশন পাঠিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে।
রাজ্যের শীর্ষ আমলাকে আপনি ডেকে নিলেন। ৭৪ বছরের ইতিহাসে এটা হয়নি। এটা লজ্জার ব্যাপার। বিচার তো হলই না। কী কারণে মুখ্যসচিবকে যোগ দিতে তা জানানো হয়নি চিঠি। কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনার কথা বলা রয়েছে বিধিতে। আলোচনা করা হয়নি। প্রতিশোধমূলক আচরণ এটা। এতটা নির্দয়, নির্মম প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমি দেখিনি। মমতার বিরুদ্ধে তাই মুখ্যসচিবকে আক্রমণ করছেন।
কলাইকুণ্ডায় বৈঠক ছিল। তার আগে আমায় পরিদর্শনের কথা বলেননি। ওঁরা কলাইকুণ্ডায় এসেছিল যাতে দিল্লি যেতে পারেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকেছিল। আমি মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করি। অনুরোধ করি, আমাদের বিপর্যস্ত এলাকায় যেতে হবে। আমাকে ও মুখ্যসচিবকে ছাড়ুন। তিনবার অনুরোধ করেছি।
১০ মে চিঠি দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। মুখ্যসচিবের অবসরের পর ৩ মাস মেয়াদ বাড়ানো হোক। কোভিড অতিমারী ও ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাঁর মেয়াদ ৩ মাস বাড়ানো হোক। কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর দিল,
কিছুক্ষণ আগে চিঠি এসেছে। একটা বিধি উদ্ধৃত করে লিখেছে, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত হলে ভারত সরকারের নির্দেশে যোগ দিতে হবে। কাল বেলা ১০টায় যোগ দিতে বলেছে। চিঠিতে কোথাও কারণ লেখা নেই।
প্রসঙ্গ আলাপন
ওঁরা একটা চিঠি দিয়েছিলেন। তাই আমরাও চিঠি দিয়েছি। আমি এব্যাপারে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না। সঠিক সময়ে উত্তর দেব। আমরা চিঠি পেয়েছি। তাই উত্তর দিয়েছি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একসঙ্গে কাজ করে।
দেউচা পাচামিতে প্রথম দফায় কারও জমি নেওয়া হবে না। দ্বিতীয় দফায় জমি অধিগ্রহণ করা হলে সমস্ত বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে।
দিঘা আমি নিজে ঘুরে এসেছি। মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া আছে। একটা সেচ ব্রিজ পড়ে আছে। কাজ শেষ করতে হবে। মৎস্যজীবীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৭ কিলোমিটার মেরিন ব্রিজের মতো করছি, সেচ দফতর যে বসবার জায়গা বানিয়েছিল, একটা চেয়ারও নেই। নীচে হাঁটবার জন্য পাথর পাতা ছিল। আমি দেখলাম কংক্রিটের উপরে পাথর বসানো হয়েছে। এটা নিয়ম নয়। কাজে গাফিলতি নিশ্চিতভাবে ছিল। মাঝেরহাট ব্রিজ করে ভাঙল? পিচের উপরেই পিচ দিত। এটা ঠিক নয়। কলকাতা পুরসভার এমন অনেক রাস্তা আছে। পিচটাকে খোদাই করে খুঁড়ে পিচ ঢালতে হবে তো। মৎস্যজীবীদের সাহায্য করতে হবে।
বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় শুরু হচ্ছে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প।
১২ থেকে ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে সমস্ত রিটেল দোকান। টিকা নিয়ে নির্মাণকর্মীদের কাজে লাগানো যাবে। ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালাবো যাবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়