Live: বাংলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতে রাজি আছি: Mamata
Latest Updates
ফাঁকা চেয়ারের ছবি তুলে দেখিয়েছি। আমাদের ক্যামেরাম্যান তো ঢুকতে দেয় না। কতক্ষণ কথা বলেছি, সেই ফটোটা কোথায়? আপনাদের লিঙ্ক দেয়, আর ফটোশপ তৈরি করে।
তাঁরা আমাকে পছন্দ করে না কেন আমি জানি না। আমাদের অপমান করলেও সামলে নেব। প্রধানমন্ত্রী আসলে প্রতিটা জায়গায় মুখ্যসচিবরা যান। আমরা সংবিধান মেনে চলি। রাজ্যের সংবিধানও মানতে হবে।
আমরা কিছু চাই না। রিপোর্ট দিয়েছি। বুলবুলে দেয়নি। ফণীতে দেয়নি। আমপানে অগ্রিম দিয়েছে। ওটা আমাদেরই টাকা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, যা আপনি ভালো বোঝেন। আমি কিছু চাইনি।
কোভিড সংক্রমণের হার ৩৩ শতাংশ থেকে নেমে গিয়েছে ১৮-১৯ শতাংশে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে ০.৩৬%। প্রথম ঢেউয়ে ছিল ১.৬৭ শতাংশ। আমরা হকার, বাস চালক, হকার, মৎস্য বিক্রেতা, পুলিস, প্যারা টিচারদের টিকায় অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সরকারের তরফে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টিকা দিতে পেরেছি। কোভিড টিকাকরণে ১ নম্বরে আছে বাংলা। ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছি। ২ কোটি আমরা দেব। ১ কোটি বেসরকারি সংস্থাকে দেব।
আমাকে অসম্মানিত, অপমানিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে খবর খাওয়ানো হয়। তারপর মন্ত্রীদের দিয়ে বলানো হয়। আমরা সাইক্লোনের জন্য কাজ করছি, তখন আমাকে বদনামের ছক সাজানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আপনার দুটো পা ধরলে খুশি হলে, আমি বাংলার জন্য করতে পারি। দয়া করে এই নোংরা খেলা খেলবেন না। মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা শেষ করুন। এই চিঠি প্রত্যাহার করুন। কোভিড ও ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষের জন্য মুখ্যসচিবকে কাজ করতে দিন। শুধু বাংলার উপরে এত রাগ কেন? বাঙালি বলে এত রাগ কেন? কই আপনারা তো এমন করি না। আমি বাঙালি-অবাঙালি করতে চাই না।
মুখ্যসচিবের কি দোষ? তিনি আমার সঙ্গে কাজ করছেন। মুখ্যসচিব রাজ্য সরকারের অফিস। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে ডাকছেন। ৩১ মে যোগ দিতে বলছেন। ৩ মাসের জন্য তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তাঁরা সাড়া দিয়েছেন। ১৫ দিন পর জবাব পাই। ৩ মাসের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোন আইনে চলে আসতে বলছেন। শুধু আমাকে নয়, মুখ্যসচিবকেও বিব্রত করছেন। আইএএস, আইপিএসরা হতবাক। মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবকে হেনস্থা করছেন। আমরা বিশাল জয় পেয়েছি বলে! বাংলার মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন। দয়া করে জনাদেশ স্বীকার করে নিন। আপনারা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে ফেলবেন?
বাংলার উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁতেও রাজি। কিন্তু আমাকে এভাবে অপমান করবেন না। বাংলাকে বদনাম করবেন না। আপনারা হার হজম করতে পারছেন না। প্রথম দিন থেকে সংঘাতে জড়াচ্ছেন। আমি যখন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অনুষ্ঠানে গিয়েছি, তখন কী হয়েছিল আপনারা দেখতে পেয়েছেন। কোভিড নিয়ে বৈঠকে আমাকে ডেকেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
তিনবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে চলে এসেছি। ইচ্ছাকৃতভাবে খালি আসন রাখা হল। আমি রাজনীতির লোকদের দেখলাম। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে থাকতে পারেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এখন বৈঠক ডাকছেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠক ডাকছেন। আমরা প্রতিটি বৈঠকে থেকেছি। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব থেকে অর্থসচিব -সকলে প্রতিটা বৈঠকে ডাকেন।
গুজরাটে কেন বিরোধী দলনেতাকে ডাকলেন না। ওড়িশায় বিরোধী নেতাকে ডাকা হয়নি। আমার রাজ্যে এসে আপনি সংঘাতের আবহ তৈরি করেন। আমি শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যপাল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় দল চলে এলে। মানবাধিকার কমিশন এল। কয়েক ঘটনা ঘটেছে, তখন আইনশৃঙ্খলা আমার হাতে ছিল না। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছি। ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। পুলিস অনেককে গ্রেফতার করেছে।
আমরা পৌঁছলে সেখানে অপেক্ষা করতে বলা হল। ১০-১৫ মিনিট পর বললাম প্লিজ ১ মিনিটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। এসপিজি-কে বিবেক সহায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করছেন। এসপিজি বলে, ১ ঘণ্টা থাকতে বলুন। তার পর জানতে পারলাম, কনফারেন্স রুমে গেলাম। ওখানে থাকার কোনও দরকার ছিল না। আগে জানতাম মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক। গিয়ে দেখলাম রাজ্যপাল, বিধায়ক, বিরোধী দলনেতা ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রীরা রয়েছেন। বিজেপি নেতাদের মাঝে আমি একা। সৌজন্য রাখতে দেখা করি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। ঘরে ঢুকে প্রধানমন্ত্রীকে বলি, আমাদের দিঘা যেতে হবে। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় পরিদর্শন করে এসেছি। আবহাওয়ার জন্য সেখান থেকে কলাইকুণ্ডায় আসা কঠিন ছিল। আমরা রিপোর্ট দিতে চাই। আমি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে দিই। তার পর বলি, আপনার অনুমতি নিয়ে আমি দিঘায় যাচ্ছি। তাহলে আমাদের দোষ কোথায়? কেন আমরা বৈঠকে থাকিনি? আগে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল।
আমি সফরসূচি ঘোষণার পরের দিন জানতে পারি, প্রধানমন্ত্রী কলাইকুণ্ডায় আসতে চলেছেন। আমরা সফরসূচি কাঁটছাট করেছি। আমাকে সাগরে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে বলেছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। প্রধানমন্ত্রীর চপার নামার পর অনুমতি দেওয়া হবে। আমরা ২০ মিনিট অপেক্ষা করছি। আমি সেখানে পৌঁছলে দেখতে পাই প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে গিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন দেখা করব চলে যাব। প্রতিহিংসার রাজনীতি হল। আসল কী ঘটনা ঘটেছিল, সেটা জানাতে সাংবাদিক বৈঠক করছি।
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।