Live: ১২ বছর পর্যন্ত শিশুর মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার রাজ্যের

Wed, 23 Jun 2021-5:23 pm,

Latest Updates

  • আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সৎ অফিসার। সারা জীবন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে আলাপনকে। সারা জীবন দেশের জন্য কাজ করেছেন। এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। আমরা লড়াই করব। ইচ্ছে করে করছে কেন্দ্র। কোনও আইন মানছে না। গায়ের জোরে কেউ যদি ভাবে আমি সেলফিস জায়েন্ট হব! গায়ের জোরে তো আইন চলে না। দেশটা বিজেপির নয়। রাজীব গান্ধীর ৪০০ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল, তাও এমন করেননি। গায়ের জোরে নিয়ম হয় না। সংবিধান আছে দেশে। যা ইচ্ছা গায়ের জোরে করা যায় না। হাত তুলে ধ্বনি ভোটে পাশ করিয়ে দিল, এটা হয় না। অফিসার যেভাবে বলবেন, সেভাবে সাহায্য করব। সকল আইএএস, আইপিএস অফিসাররা তাঁর পাশে আছেন। সকলে মিলে লড়াই করছেন।

  • উপনির্বাচন যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব করা উচিত। ৭ দিন সময়ে করতে পারে তারা। মুর্শিদাবাদের ২টি আসনে নির্বাচন বাকি। আমরা অপেক্ষা করছি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে উপনির্বাচন ঘোষণা হতে পারে বলে শুনছি। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ এলে আর করা যাবে না। ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাই নিয়ম। নির্বাচনের সময় কোভিড সংক্রমণ হার ছিল ৩২ শতাংশ। ৩২ শতাংশে সংক্রমণ থাকলে নির্বাচন হতে পারে। অথচ ১ শতাংশ সংক্রমণে করতে পারছে না! উপনির্বাচন আয়োজনে অল্প সময় দিলেই হবে।

  • বিজেপিই দেশের বড় অসুখ। তারা মানুষের রায় স্বীকার করতে পারছে না। সাধারণ মানুষের দাবি মানতে পারছে না। দ্বিতীয় ঢেউয়ে বহু মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বহু লোক মারা গিয়েছে। সেই দেহ ভেসে আসছে বাংলায়। 

     

  • বেসরকারি জায়গা থেকে কোভ্যাক্সিন নিয়েছে। এটা এখনও অনুমোদন পায়নি। বিদেশে গ্রহণ করতে চায়নি। ফলে বিদেশে যেতে যাওয়া পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়েছেন। মুখ্যসচিবকে শীঘ্রই স্বাস্থ্যসচিব ও ক্যাবিনেট সচিবকে লিখতে বলব। হু-কে দিয়ে অনুমোদিত করা উচিত কোভ্যাক্সিনকে। কোভ্যাক্সিনকে সারা বিশ্বে অনুমোদন দেওয়ার জন্য আবেদন করছি। আমরা বেশিরভাগটাই কোভিশিল্ড দিয়েছি। বেসরকারি থেকে অনেকে কোভ্যাক্সিন নিয়ে নিয়েছে। কোভিশিল্ডের শংসাপত্র না থাকায় বিমানে উঠতে পারছেন না। এটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াল। সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করব।   

  •  ২ কোটির মতো টিকার ডোজ দিয়েছি বাংলায়। ৩৩ লক্ষ ডোজ দেওয়া হয়েছে সুপার স্প্রেডার। গাড়ির চালক, সবজিওয়ালা থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিনে সংক্রমণ আরও কমিয়ে ফেলব। প্রতিদিন ৩ লক্ষ ডোজ দিয়েছি। ৭-৮দিন দেওয়া যায়নি। আমরা ৩ কোটি ডোজ চেয়েছিলাম। বেসরকারিকে ১ কোটি দিতাম। তাহলে অনেকটা কাজ হয়ে যেত। কাল থেকে ৪ লক্ষ করে টিকা দেওয়া শুরু হবে। জুলাই মাসের মধ্যে ৭০ লক্ষ ভ্যাকসিন দেব। প্রায় ৩ কোটির কাছাকাছি পৌঁছে যাব। কিছু কিছু দেশ বলছে, তৃতীয় ঢেউ বাচ্চাদের উপরে হতে  পারে। ছোট্ট বাচ্চা থেকে ১২ বছরের বাচ্চা, অনেকটাই মায়ের উপরে নির্ভরশালী। সেই মায়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেব। যাতে মায়ের কাছে থেকে বাচ্চাটা সংক্রামিত না হতে পারে। 
            

  • কোভিড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বারবার বলেছি নির্বাচন একসঙ্গে করে দেওয়ার জন্য। আমরা চাইব উপনির্বাচন হয়ে যাক। ৭ দিন প্রচারের জন্য দেওয়া হয়। প্রথম দফায় ২-৩ শতাংশ ছিল। ৮ দফায় এটা চলে গিয়েছিল ৩২ শতাংশ। কোভিড সংক্রমণ বেড়েছে ৮ দফার নির্বাচনের সময়ে। ৩২ শতাংশ থেকে আমরা ৩.৬১ শতাংশে নামিয়ে এসেছি। অনেক রাজ্যে জনঘনত্ব কম। আমাদের বেশি। বিধিনিষেধ চললেও কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। অনেক জেলা কমিয়েছে সংক্রমণ। দার্জিলিং একটু বেশি আছে। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া একটু বেশি আছে।

  • ২৬ তারিখ বড় বান আসছে। যে যে জেলায় বেশি বৃষ্টি হচ্ছে, তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আরামবাগ, খানাকুল, এদিকে হাওড়ার আমতা, বাগনান, উদয়নারায়ণপুর, বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়া রয়েছে।  ভুটানে জল বাড়লে জলপাইগুড়িতে জল বাড়ে। বিহার ও ঝাড়খণ্ডে জল বাড়লে সেটা হাওড়া ও হুগলি ডুবিয়ে দেয়। বাংলা নৌকার মতো। এক বছরের বর্ষা গত ১৯ দিনে হয়ে গিয়েছে। তবুও আমরা মোকাবিলা করে যাচ্ছি। ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবে সেচ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। বাঁধের জল ম্যানেজ করে ছাড়তে হবে। 

    বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • ৩০ হাজার কোভিড শয্যা রয়েছে রাজ্যে। এখন সংক্রমণ কমায় অনেক শয্যাই ফাঁকা আছে। শিশুদের ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বাড়ানো হচ্ছে। শিশুদের জন্য ১৩০০ আইসিইউ করা হবে।  

    COMMERCIAL BREAK
    SCROLL TO CONTINUE READING

    ২৫০টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। সেখানে টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে সুপার স্প্রেডারদের। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। ১২ বছর পর্যন্ত বয়সের শিশুর মায়েদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।   

    করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। নির্বাচন শুরুর সময় সংক্রমণ হার ৩ শতাংশ ছিল। সেটাই ৮ দফার নির্বাচনের পর ৩২ শতাংশে চলে গিয়েছিল। বিধিনিষেধের জেরে নিয়ন্ত্রণে এসেছে সংক্রমণ হার। 

    সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

     

     

     

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link