Live: বছরে ১০ হাজার টাকা, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সূচনা Mamata-র
Latest Updates
শাহ-ধনখড় বৈঠক প্রসঙ্গে
উনি কার সঙ্গে দেখা করবেন ওঁর ব্যাপার। উনি তো ওদেরই লোক।
রাজ্যপাল বদল প্রসঙ্গে
আসা-যাওয়ার গান ওরাই গায়। রাজ্যপাল বদলালে রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করতে হয়। আমি তো প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি, ওঁকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য।
আমরা যে-ই ঘোষণা করলাম ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে, আজকেই ৯ লক্ষ ৭৮ হাজার কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ১০ হাজার টাকা পেলেন কৃষকরা।
ওরা টুইটারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, তাই ধ্বংস করতে চাইছে। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, তাই বুলডোজ করতে চাইছে।
বাংলা ভাগ যে করতে আসবে না, সে বুঝবে বাংলার একতা কতটা জোরদার, কতটা শক্তিশালী। বঙ্গভঙ্গ আমরা করতে দেব না। যারা বঙ্গভঙ্গ নিয়ে খেলতে আসবে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মানে কী? দার্জিলিঙের জমি বিক্রি করে দেবে! আলিপুরদুয়ারের জমি বিক্রি করে দেবে!
হিংসার অভিযোগ প্রসঙ্গে
আপনারা তো সাংবাদিক। আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন? কারও চোখে যদি ন্যাবা হয় আমি কী করব! বাংলায় হারার পর লজ্জা নেই বিজেপির। এটাই বিজেপির অভ্যাস। সবটাই পূর্বপরিকল্পিত। নির্বাচনের সময় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। আমি হিংসাকে সমর্থন করি না। প্রশাসন ও পুলিসকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিই। হিংসার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। কোনও রাজনৈতিক হিংসাই নেই। এটা বিজেপির গিমিক হিংসা।
প্রসঙ্গ রাম মন্দিরের জমি
এনিয়ে কোনও টিপ্পনী করব না। শিবসেনা যখন অভিযোগ করেছে, তখন ওদের কাছে প্রমাণ আছে নিশ্চয়ই। বিস্তারিত জানার পর মন্তব্য করতে পারব।
প্রসঙ্গ রাজ্যপাল
সবাই যখন বলে আমার কী বলার দরকার! একটা বাচ্চা হলে বকে চুপ করানো যায় না। নীরবতাই শ্রেয়।ইয়াসের ক্ষতিপূরণ
ইয়াসের জন্য কোনও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেনি কেন্দ্র। এত বৃষ্টি আগে কখনও হয়নি। ২৬ তারিখ বান আসবে। হুগলিতে জল বাড়ছে। ঝাড়খণ্ড ও বিহারেও খুব বেশি হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে বাঁধের জল ছেড়ে দেয়। আমরা নৌকোর মতো ডুবি। বান আসলে কলকাতাতেও জল ঢুকে যায়। প্রকৃতি একটু দুরন্ত হয়ে গিয়েছে। এটা উষ্ণায়নের ফল। সব রাজ্যে বজ্রপাতে লোক মারা যাচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন কীভাবে?
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতি আগামিকাল ঘোষণা করা হবে।
কৃষকদের জন্য সরকারি সহায়তা
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কৃষকের মৃত্যু হলে ২ লক্ষ টাকা দেয় সরকার। ২৮ হাজার কৃষক পরিবারকে মৃত্যুকালীন সুবিধা ৫৫৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের জমিতে মিউটেশন ফি লাগে না। ৬২ লক্ষ কৃষক ও বর্গাদারদের নিয়েছি এই প্রকল্পে। ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সহায়তা করেছি। কৃষকদের স্বার্থে জমির উপযুক্ত নথি থাকলে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করা যেত। এখন নিজে হলফনামা দিয়ে জমি পরিমাণ জানালেই হবে। কৃষক উন্নয়নে এটা আমাদের পদক্ষেপ। কৃষকদের আয় ৩ গুণের বেশি হয়ে গিয়েছে। এখন হয়তো আরও বেশি হবে। দেশে অসংখ্য কৃষক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ৬ মাস ধরে কৃষক আন্দোলন চলছে। কিন্তু বাংলা উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। কৃষক বার্ধক্যভাতা ৭৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। উপভোক্তার সংখ্যা ৬৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ করা হয়েছে। শস্য বিমার প্রিমিয়াম ৭০০ কোটি টাকা সরকার দেয়। ৬৪ লক্ষ কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হওয়ায় প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ কৃষক পরিবারকে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। ১৮৬টি কিসান মান্ডি তৈরি হয়েছে। ৫০ লক্ষের বেশি সয়েল হেল্থ কার্ড। ১৬৫০টি কাস্টম হায়ারিং সেন্টার। নামমাত্র ভাড়ায় কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের ৬টি জেলায় ৫০ হাজার একর পতিত জমিকে কাজে লাগিয়েছ কৃষি, মাছচাষ ও পশুপালনের জন্য মাটিসৃষ্টি প্রকল্প চালু করেছি। ইয়াসের সময় চাষের জমি নোনা জল ঢুকে হয়েছিল, সেই সব এলাকায় ২ লক্ষ কৃষককে নোনা স্বর্ণ ধান বিলি করা হচ্ছে। কিটে রয়েছে ৬ কেজি বীজ ও শোধনের রাসায়নিক। ইয়াস হওয়ার পরে দুয়ারে ত্রাণ চালু করেছি। ৫-৭ সপ্তাহে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। মন্ত্রিসভায় পাশ হয়। প্রতিশ্রুতি পূরণ অনুযায়ী কৃষকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে কৃষকদের ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। ন্যূনতম ৪ হাজার টাকা পাচ্ছেন। আপনারা জানেন ৬০ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের অধীনে। এক একর জমিতে ৫ হাজার করে দুবার ১০ হাজার টাকা পাবে। খেতমজুর, বর্গাদাররা ন্যূনতম ৪ হাজার টাকা পাবেন। আগে ২ হাজার টাকা পেতেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনায় খুব কম লোক পান। কেন্দ্রের পরিকল্পনায় ২ একর জমি থাকলে পাবে। আমরা সবাইকে দিই। কেন্দ্রের প্রকল্পে খেতমজুর, বর্গাদার নেই। আজ শুরু হল, বাকিরাও পেয়ে যাবেন আস্তে আস্তে। এটা বড় প্রকল্প। সারা ভারতে বাংলাই প্রথম।