বামেদের নবান্ন অভিযানে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, ইট বৃষ্টি
Latest Updates
যে কোনও সময় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে মৌলালি মোড়। কারণ, ব্যস্ত রাস্তায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই ভোগান্তি দূর করতে হলে অবস্থান বিক্ষোভকে রাস্তা থেকে সরাতে বেগ দিতে হতে পারে পুলিসকে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী যতক্ষণ না ক্ষমা চাইছেন, তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে বলে জানিয়েছেন বাম যুব সংগঠনের সমর্থকরা।
মৌলালি মোড় অবরোধ করল বাম যুব সংগঠনরা। তাদের উপর পুলিসের লাঠি চার্জের প্রতিবাদে DYFI সমর্থকরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাদের বক্তব্য, তাঁরা যে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছিল তাকে অশান্ত করে পুলিস।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাদবপুরের ডিসি রশিদ মুনির খান বাম যুব সংগঠনের ছোড়া ইটে আহত হয়েছেন।
ডোরিনা ক্রসিংয়ে রণক্ষেত্র চেহারা।আহত ডিসিপি সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও
অভিযানের ক্ষেত্রে ব্যারিকেড ভাঙা, জলকামানের ব্যবহার, ইট বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু কতটা সহজে গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, সেটাই চ্যালেঞ্জ।
পুলিসকে জানানো হয়েছিল মিছিলের কথা তারপরও গোটা ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। নামতে হয় রাজ্য পুলিসের এডিজি আইনশৃঙ্খলা যাবেদ শামিমকে।
কলকাতা পুলিসের স্পেশাল কমিশনার কাজ করছেন। গোটা ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। টিয়ার গ্যাস ও জলকামান দিয়ে তাদের আটকানো হয়।
শান্তিপূর্ণ মিছিল করা হচ্ছিল। উলুবেরিয়া থেকে মিছিলে যোগ দিতে আসা এক সমর্থক বলেন, পুলিসের জন্য মিষ্টি নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু ওঁরা আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে। রক্ত বার করে দেয়।
মমতা বন্দোপাধ্যায় যতক্ষণ না ক্ষমা চাইবে তাঁরা এই অবরোধ চালিয়ে যাবে। ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ ও জলকামানের মধ্যে দিয়ে যে অভিযোগ উঠে আসছে, ঘটনা স্থলে ছিল না কোনও মহিলা পুলিস।
জখম হয়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছেন বাম সমর্থকরা। ব্যরিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে অভিযানে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়।
প্রায় ৫০ জনের উপর বাম যুব সংগঠনের সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যতক্ষণ না ক্ষমা চাইছে ততক্ষণ তাঁরা রাস্তা থেকে সরবেন না।