WB Assembly Election 2021 LIVE: এবার জোরে ছাপ, টিএমসি সাফ: Modi
Latest Updates
দু'টো হাত তুলে বলুন ভারত মাতাকি জয়। বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম।
সরকারি কর্মচারীদের বলছি, রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করবেন না। লোকসভায় মন্ত্র ছিল, চুপচাপ পদ্মে ছাপ। এবার জোরে ছাপ, টিএমসি সাফ। আবার বাংলায় ফিরতে চলেছে গণতন্ত্র। আমরা সবাই সাক্ষী থাকব।
বাংলার ভোটদাতাদের অনুরোধ করছি, ভয় পাবেন না। নির্ভয়ে বিজেপিকে ভোট দিন। কুশাসনের বিরুদ্ধে ভোট দিন। বাংলাকে ভয়মুক্ত করুন। উন্নতির জন্য ভোট করুন। বাংলার জয়, ভারতের জয়। শাস্ত্রে বলা আছে, ক্রোধাৎ ভবতি সম্মোহ, সম্মোহ স্মৃতিবিভ্রম। রাগে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, আর নিজের সব কিছু হারিয়ে ফেলে। আমাকে কী কী বলেছেন! কখনও রাবণ, কখনও দানব, কখনও দৈত্য, কখনও গুন্ডা। দিদি এত রাগ কেন! এত রাগ কেন দিদি! কথায় কথায় গাল দেওয়া! এত রাগ কেন দিদি! আজ যদি বাংলায় পদ্ম ফুটছে, তার কারণ সেই পাঁক যা আপনার দল এখানে তৈরি করেছে। উন্নতির জায়গায় তোষণের রাজনীতি করেছেন। ভেদাভেদ করেছেন। গণতন্ত্রের নামে লুঠতন্ত্রকে উৎসাহ দিয়েছেন। গরিবদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। কয়েক বছর ধরে চিনি দিদিকে। এই দিদি সেই দিদি নন, যিনি বামপন্থীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। দিদির রিমোটকন্ট্রোল অন্য কারও হাতে। এটা বাংলার সংস্কৃতিবিরোধী। অরবিন্দ ঘোষ, স্বামী বিবেকানন্দরা আজ দুঃখ পেতেন। বিজেপিকে বহিরাগত বলছেন। আপনারা বলুন, কংগ্রেস কে তৈরি করেছিল? বামপন্থীরা এত বছর শাসন করেছে। মার্ক্স, লেনিনের আদর্শ বহিরাগত না বাংলার! তৃণমূলও তো কংগ্রেস থেকে তৈরি হয়েছিল। বিজেপির স্থাপনার মূলেই বাংলা। বাংলার সুপুত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শে তৈরি দল। বাংলার লেগে গন্ধ রয়েছে। বাংলার সংস্কৃতির স্বাদ রয়েছে। বিজেপির ডিএনএ-তে বাংলা। বাংলার কাছে ঋণী বিজেপি। এই ঋণশোধ করতে পারব না। বাংলার মাটির তিলক লাগিয়ে তাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেব। পদ্মফুলে বাংলার মাটির গন্ধ রয়েছে। লোকসভার টিএমসি হাফ, এবার পুরো সাফ।
করোনার সময়ে বিনামূল্যে রেশন, কোটি টাকা ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে। আমার বন্ধুদের জন্য বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ১৩০ কোটি ভারতবাসী আমার বন্ধু। প্রতিটা যুবক আমার বন্ধু। বস্তিতে থাকা মানুষ আমার বন্ধু। এতে ওদের সমস্যা হয়! এরা তো আমাদের হাতে ছিল। এ কোন নতুন বন্ধু এসে গেল! সেই রাগেই বাধা দিচ্ছে। কান খুলে শুনুন, পশ্চিমবঙ্গে আমার এই বন্ধুদের জন্য যত বেশি সম্ভব কাজ করতে চাই। বাংলার সরকার আটকাচ্ছে আমায়। বাংলার লক্ষাধিক কৃষকের ব্যাঙ্কের খাতায় টাকা জমা করতে চাই। বাংলার বন্ধুদের আয়ুষ্মান যোজনায় আনতে চাই। গোটা দেশে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যের সুবিধা চাই। এবার বলুন, দোস্তি চলবে না তোলাবাজি? আপনাদের এই উদ্যম দেখে দিদি ও তাঁর সঙ্গীদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। তাই তো ওরা বলছে, খেলা হবে। সত্যিই এরা তো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। খেলতে জানেন। খেলেছেনও। কোনও খেলাই ছাড়েননি। কত দুর্নীতি করে বাংলার গরিবদের লুঠেছেন! আপনি কী বাকি রেখেছন! আমফান পীড়িতদের জন্য পাঠানো ত্রাণও লুঠেছেন। তোলাবাজি, সিন্ডিকেট করেছেন আপনি। এত দুর্নীতি করেছেন যে করাপশন অলিম্পিক হয়ে যাবে। মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছেন। চা বাগানগুলি তালাবন্দি করেছেন। নিয়োগ পরীক্ষায় কী ধরনের খেলা হয়! ছোট ছোট তালিকা প্রকাশিত হয়। তালিকা প্রকাশের আগে কারও ঘরে ফাইল যায়, তারপর মঞ্জুরি দেওয়া হয়। কাদের নিয়োগ করা হয়, তা সারা বাংলা জানে। এবার এই খেলা চলবে না। এই খেলা বন্ধ হওয়া চাই? খেলা খতম হওয়া চাই তো? দিদি এই আওয়াজ শুনুন, শঙ্খনাদ শুনুন। টিএমসির খেলা শেষ। খেলা খতম। এবার উন্নয়ন শুরু।
ঘরে ঘরে জলপ্রকল্প নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল। কেন্দ্র যে টাকা পাঠাচ্ছে, তা আজ পর্যন্ত এখানকার সরকার খরচই করতে পারেনি। মহিলা ও শিশুদের অপরাধী তৃণমূল সরকার।নির্বাচনে শাস্তি পাওয়া উচিত তো? এমন অনেক প্রকল্প রাজ্য সরকার সিন্দুকে রেখে দিয়েছে। দিদি না তো কাজ করবেন, না অন্য কাউকে করতে দেবেন! বিরোধীরাও বলছে, আমি বন্ধুদের জন্য কাজ করি। আমাকে বলা হয়, মোদী নিজের বন্ধুদের জন্য কাজ করে। আমরা সবাই জানি, ছোটবেলায় যেখানে খেলাধুলা করে বড়ো হই, তারাই আমাদের জীবনভর বন্ধু থাকে। আমিও দারিদ্র দেখেছি। তাই গরিবদের দুঃখ দেখতে পাই। তাঁরা আমার বন্ধু। সেজন্য আমাকে বই পড়তে হয় না। ছবি দেখতে হয় না। আমি এটা অনুভব করতে পারি। আর তাই বন্ধুদের জন্য কাজ করি। বাংলায় নিজের বন্ধুদের জন্য কাজ করেছি। বাংলায় প্রায় ৯০ লক্ষ গ্যাস সংযোগ দিয়েছি। ৭ লক্ষের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। ৭ লক্ষের বেশি শৌচালয় করেছি। ৩২ লক্ষের বেশি পাকা ঘর দিয়েছি। দলিত, পীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত সকল বন্ধুরা লাভবান হয়েছেন। এখানকার টি-গার্ডেনে কাজ করা শ্রমিকরা আমার বিশেষ বন্ধু। আমার এমন কাজের জন্য ওদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে। আমার চা-ওয়ালা বন্ধুরা পেয়েছেন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা। বাজেটে চা শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার ঘোষণা করা হয়েছে।
স্কুটি চালিয়েছিলেন আপনি। পড়ে যাননি ভালো হল! নইলে যে রাজ্যে ওই স্কুটি তৈরি হয়েছে, সেই রাজ্যকে শত্রু বানিয়ে নিতেন। স্কুটি সাউথে তৈরি হলে সাউথ শত্রুত হত। নর্থে হলে নর্থকে শত্রু ভাবতেন। ভালো হল পড়ে যাননি! আপনার স্কুটি ভবানীপুর যাওয়ার বদলে নন্দীগ্রাম চলে গেল। আমি তো সকলের মঙ্গল চাই। কিন্তু স্কুটি নন্দীগ্রামে মুখ থুবড়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তো আমরা কী করব! আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসের একদিন আগে বাংলায় এসেছি। মা সারদা দেবী, মাতঙ্গিনী, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মতো নারীদের ভারতকে দিয়েছে বাংলা। গত কয়েক বছর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিতে রয়েছে মা-বোনেরা। ঘরের মালকিন হচ্ছেন মেয়েরা। ঘরে ঘরে শৌচালয় হয়েছে। মা-বোনেরা সম্মান পেয়েছেন। ৪ কোটি জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। অর্ধেকের বেশি মহিলা অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। মুদ্রা যোজনায় লভ্যার্থী ৭৫ শতাংশই মহিলা। করোনা মহামারীর সময়ে বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
দিদি শুনেছেন। এটা বাংলার আওয়াজ। বাঙালিদের আওয়াজ। ১০ বছরের অভিজ্ঞতার পর একটাই প্রশ্ন করছে, দিদি হিসেবে বেছেছিল। কিন্তু. আপনি একজন ভাইপোর পিসি হয়ে উঠেছেন। কেন এটা করলেন? বাংলার লাখো ভাইপো-ভাইঝির আশা পূরণ করা ছেড়ে নিজের ভাইপোর আশাপূর্ণ করলেন। কংগ্রেসের ভাই-ভাতিজা সংস্কৃতি ছাড়তে পারলেন না।
গোটা বাংলা একসুরে বলছে, আর নয় অন্যায়। আর নয় অন্যায়। টিএমসি সরকারের দিন ফুরিয়ে এসেছে। গোটা দেশকে এই নির্ঘোষ শোনানো দরকার।
সরকারি ব্যবস্থা, পুলিস ও প্রশাসনের উপরে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ফিরে আসবে, এমন পরিবর্তন হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছ ব্যবস্থা। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প লাগু। ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি ও প্রযুক্তির পড়াশুনো বাংলা ভাষায় যাতে হয়, তার জন্য জোর দেওয়া হবে। ইংরেজি জানে না, তাই গরিবের ছেলেমেয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন থেকে দূরে থাকতে পারবে না। গরিবের মেয়ে ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারিং হতে পারে, সেই ব্যবস্থা আনব। শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বাংলার রাজনীতির অভিমুখ করব উন্নয়নমুখী। বাংলাকে ধ্বংস করার সুযোগ কাউকে দেব না। তাই আসল পরিবর্তনের কথা বলছি। আসল পরিবর্তনের মহাযজ্ঞে বাংলার মানুষদের এটা মাথায় রাখতে হবে, তাঁদের সঙ্গে বহুবার ছল করা হয়েছে। সঙ্গীরা আজাদির স্লোগান দিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল। স্বাধীনতার পর কাজ হয়েছিল। তারপর বাংলায় ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি জাঁকিয়ে বসল। বামপন্থীরা এগিয়ে নিয়ে গেল। বামপন্থীরা স্লোগান দিয়েছিল, কংগ্রেসের কালো হাত, ভেঙে গুঁড়িয়ে দাও। এমন স্লোগান দিয়ে বামপন্থীরা ক্ষমতায় এসেছিল। তিন দশক শাসনে ছিল। আমি প্রশ্ন করছি, আজ ওই কালো হাতের কী হল? এই কালো হাত সাদা হল কীভাবে? যে কালো ভাবতেন, তা আজ সাদা কীভাবে হল! যে হাত ভাঙার কথা বলত, সেই হাতের আশীর্বাদ নিচ্ছে এখন। বামপন্থীদের বিরুদ্ধে মমতা'দিদি পরিবর্তনের স্লোগান দিয়েছিল। আপনারা বলুন, গত ১০ বছরে সাধারণ বাঙালি পরিবারের জীবনে পরিবর্তন এসেছে? যে পরিবর্তন চেয়েছিলেন বাংলার জনতা। এসেছে সেই পরিবর্তন? কৃষক, শ্রমিক ও কর্মচারীদের জীবনে এসেছে সেই পরিবর্তন? গরিবের জীবনে পরিবর্তন এসেছে? গরিব আরও গরিব হয়েছে।
বাংলা কী হারিয়েছে, তা আপনারা আমার চেয়ে ভালো করে জানেন। যা বাংলা থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সেগুলি ফিরিয়ে আনব। ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছরে প্রবেশ করছে, বাংলা এক নতুন উদ্যম ও সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মতোই বাংলার উন্নতিতে আগামী ২৫ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ২৫ বছরের সূচনার প্রথম ধাপ এই বিধানসভার নির্বাচন। ২৫ বছরের উন্নতির ভিত্তি হতে চলেছে নির্বাচন। শুধু বাংলায় সরকারের বদলের জন্য নয়, বাংলাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ভোট দেবেন। ২০৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, সেদিন দেশকে আবার নেতৃত্ব দেবে বাংলা। টি থেকে ট্যুরিজম, পশ্চিমবঙ্গের মাটি ও সমুদ্রতে সব কিছু আছে। স্বচ্ছ মনে এদিয়ে যাওয়ার দরকার। কলকাতা সিটি অব জয়, কলকাতার অতীত ঐতিহ্যও রয়েছে। সম্ভাবনাও রয়েছে। কলকাতার সংস্কৃতিকে সুরক্ষিত রেখে সিটি অব ফিউচার তৈরি করার মতো সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রযুক্তির বিস্তার, স্টার্টআপের পরিবেশ, সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করব। কলকাতা মেট্রোর সম্প্রসারণ আরও দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে। কলকাতায় উন্নয়নের ডবল ইঞ্জিন চালু হলেই সব বাধা কেটে যাবে। প্রতিটা ধাপে বাধার সম্মুখীন হই। এদের কমিশনবাজির জন্য কলকাতা বিমানবন্দর সংক্রান্ত সব কাজ আটকে রয়েছে। এমন আটকে থাকা কাজগুলিকে দ্রুতগামী করা যাবে। স্মার্টসিটি প্রকল্পগুলি নতুন গতি পাবে। শহরে নতুন ফ্লাইওভার তৈরি হবে। অসম্পূর্ণ ফ্লাইওভার সময়ে শেষ হবে। বস্তিবাসীদের পাকা ঘর দেওয়া হবে। ঠেলাচালকদের দেওয়া হবে স্বনির্ভর নিধি। কলকাতার সঙ্গে বাংলার অন্যান্য শহরে আত্মনির্ভর ভারতকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি রয়েছে। শহরের পরিকাঠামোগুলিকে আধুনিক করা হবে। যাতে শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও বন্দরে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তাতে উৎসাহ দেওয়া হবে। কৃষক ও মৎস্যজীবীরা লাভবান হবে।
আজ আমাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার ছেলে মিঠুন চক্রবর্তী। লড়াই করে সাফল্য পেয়েছেন। লোকনাথ বাবার আশীর্বাদে সাধারণ মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। হাত তুলে সজোরে বলুন, ভারত মাতা কি জয়। এ জয়ধ্বনি বাংলার কোণে কোণে পৌঁছে যাচ্ছে। ভারত মাতার আশীর্বাদে সোনার বাংলার সংকল্প পূর্ণ হবেই। আজ এখানে সকলে আসল পরিবর্তনের জন্য এসেছেন। আমি এই ব্রিগেড গ্রাউন্ড থেকে আসল পরিবর্তনের জন্য ভরসা দিতে এসেছি। বাংলার উন্নতি, স্থিতি বদল, বাংলার পুনর্নির্মাণ, সংস্কৃতির রক্ষা, শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের জন্য ভরসা দিতে এসেছি। কৃষক, যুব, শিল্পোদ্যোগী, মা-বোনেদের উন্নতির জন্য ২৪ ঘণ্টা, দিনরাত পরিশ্রম করব। পরিশ্রম করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখব না। প্রতিটা সেকেন্ড আপনাদের জন্য বাঁচব। আপনাদের সেবা করব। আশীর্বাদ নেব। শুধু নির্বাচনের জন্য আপনাদের হৃদয় জিততে থাকব। বিজেপির সরকার তৈরি হবে তার নীতি ও সিদ্ধান্ত হবে বাংলার মানুষের হিতই অগ্রাধিকার পাবে। আসল পরিবর্তনের মন্ত্র এখানে বিজেপির সরকার প্রেরণা হবে। আসল পরিবর্তন মানে এমন বাংলা যেখানে যুবদের শিক্ষার সুযোগ, লোকেরা পলায়ন করতে বাধ্য না হন, ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠে, সর্বাধিক বিনিয়োগ আসবে। একবিংশ শতকের আধুনিক পরিকাঠামো থাকবে। গরিবরাও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। এমন বাংলা যেখানে প্রতিটা ক্ষেত্র ও প্রতিটা শ্রেণির মানুষের উন্নতির জন্য সমান অংশীদারিত্ব থাকবে। আদিবাসী, দলিত, পিছড়ে বর্গ, শোষিত, বঞ্চিত ও শরণার্থী ভাইরা সমান সুযোগ পাবেন। উন্নয়নের সকলের হবে। তোষণ করা হবে না। অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া হবে।
ব্রিগেড চলোর স্লোগান শোনা গিয়েছে গত কয়েক দশকে। এই মাঠে একাধিক দেশভক্ত দেখেছে। এই গ্রাউন্ড বাংলার উন্নয়নে বাধা দেওয়ার মতো লোকেদেরও দেখছে। ২৪ ঘণ্টা হরতাল ও বনধের নীতি ও ষড়যন্ত্রও দেখেছে এই বাংলা। বাংলার এই মহান ভূমির যা হাল করেছে, তা বাংলা সহ্য করেছে। বাংলার মানুষের মহানতরা, অদম্য ইচ্ছাশক্তি, কখনও আশা ছাড়েনি। দিদির উপরে ভরসা করেছিল বাংলা। তবে সেই ভরসা ভেঙে দিয়েছেন দিদি। বাংলার বিশ্বাসভঙ্গ করেছে ওরা। মা-বোনেদের অপমান করেছে। বোন-মেয়েদের উপরে অত্যাচার করেছে। কিন্তু এখানকার মানুষের ইচ্ছাশক্তি ভাঙতে পারেনি। আজ এই জনসাগর ইচ্ছাশক্তির জীবন্ত উদাহরণ। বাংলা উন্নতি চায়, শান্তি চায়। প্রগতিশালী বাংলা চায়। বাংলা চায় সোনার বাংলা।
নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ
কয়েকশো সভা দেখেছি। এত বড় জনসমাগম দেখিনি। উপর থেকে এত লোক দেখলাম। অনেকে হয়তো এখানে পৌঁছতে পারবেন না। আপনাদের সকলকে প্রণাম করছি। বাংলার ভূমি স্বাধীনতার আন্দোলনকে তরাণ্বিত করেছে। এক বিধান, এক প্রধান এক নিশানের জন্য বলিদান দেওয়া সুপুত্র দিয়েছে এই বাংলার ভূমি। এমন বাংলার ভূমিকে একাধিকবার প্রণাম করছি। ঐতিহাসিক ব্রিগেড গ্রাউন্ডে আরও একবার আপনাদের আশীর্বাদ পাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। একদিকে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মস্থান, একদিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের নিবাস, একদিকে মহর্ষি অরবিন্দের জন্মস্থান আর একদিকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি।
মঞ্চে নরেন্দ্র মোদী
নরেন্দ্র মোদীকে উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী।
Mithun Chakraborty Addressing Rally: আজকের দিনটা আমার কাছে একটা স্বপ্নের মত
* যেখানে থাকতাম তার দুদিকটাই অন্ধ
* জোড়বাগানে থাকতাম
* সেদিন স্বপ্ন দেখেছিলাম কিছু একটা করব
* কিন্তু এই স্বপ্নটা দেখিনি যেখানে ভারতের তাবড় নেতৃত্ব বসে আছেন, সেই মঞ্চে আমি আমার বিলাভড প্রধানমন্ত্রী মোদী।
* ব্লাইন্ড লেনে জন্মে আমি এখানে।
* কেউ হৃদয় দিয়ে দেখলে স্বপ্ন সফল হয়।
* আমি বাঙালি, আমি গর্বিত আমি বাঙালি
* রানি রাসমনি, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করুন।
* বাংলায় যাঁরা থাকে, তাঁরা সবাই বাঙালি
* আমার নাম মিঠুন চক্রবর্তী, আমি যা বলি তা করে দেখাই।
* দাদার প্রতি ভরসা রাখুন, দাদার কথায় বিশ্বাস রাখুন।
*আমি স্বপ্ন দেখতাম। আমি গরীবদের জন্য কিছু করব। আজ মনে হচ্ছে কোথায় আমি সেই স্বপ্নটা *দেখতে পাচ্ছি। এটা সত্যি হবেই।
*আমি বাঙালি, আমি গর্বিত আমি বাঙালি।* ব্রিগেড মঞ্চে মিঠুনের জনপ্রিয় ডায়গল- "মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে।"
*আমি জলঢোড়া নই, বেলেঢোড়া নই, আমি জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি।" এবার কিন্তু এটাই হবে।"বায়ু সেনার বিমানে কলকাতা পৌঁছলেন Narendra modi, আর কিছুক্ষণের ব্রিগেডে এসে পৌঁছবেন তিনি
ব্রিগেডের মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী
* ভারত বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।
* বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার দরকার।
* তৃণমূলকে উপরে ফেলতে হবে।
* তৃণমূল আর রাজনৈতিক দল নয়। প্রাইভেট কোম্পানি, ওখানে চেয়ারম্যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ম্যানেজিং ডিরেক্টর তোলাবাজ ভাইপো।
* লোকসভা নির্বাচনে কত প্রচার করেছি মিঠুনের সঙ্গে।
* বাংলাকে উদ্ধার করতে আজকে মিঠুন দা ছুটে এসেছেন।
* এখানে হজবরল জোট হয়েছে।
* আজ এখানে যাঁরা বসে সবাই রাজনৈতিকভাবে পরিচিত।
* তৃণমূল ফিরে এলে পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হয়ে যাবে।
* তিন কোটি মানুষের টাকা প্রতারিত হয়েছে চিটফান্ডে। এই তিনকোটি মানুষ বিজেপিকে ভোট দিন। আপনাদের অর্থ একমাত্র বিজেপিই ফিরিয়ে দিতে পারে।
* নন্দীগ্রামে মমতাকে হারাবই।
* বাংলাকে বিজেপির হাতে তুলে দিন।কৈলাস আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এবার তার বাস্তবায়ন। ব্রিগডের মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দলেন Mithun Chakraborty
চোখে কালো চশমা, পরনে ধুতি পাঞ্জাবি। উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়ার বাড়ি থেকে রওনা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছবেন তিনি। রাস্তায় তাঁর সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
Modi Mamata Live Update:
আজ যখন ব্রিগেড গ্রাউন্ডে মোদীর ভাষণ, ঠিক তখনই শিলিগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল করবেন তৃণমূল নেত্রী।
আজ বিজেপির ব্রিগেড। প্রধান বক্তা নরেন্দ্র মোদী। শহরে প্রধানমন্ত্রী আসার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে
WB Assembly Election 2021: ব্রিগেডে প্রচারে মোদী
বিধানসভা ভোটের (Assembly election 2021) আগে ব্রিগেড (Brigade) চ্যালেঞ্জ বিজেপির (BJP)। ব্রিগেড গ্রাউন্ড ভরাতে মরিয়া বিজেপি। রাত থেকেই হাওড়া (Howrah), শিয়ালদা (Sealah) থেকে শহরমুখী বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা। আজকের ব্রিগেড নরেন্দ্র মোদীর (Naredndra Modi) ব্রিগেড। বিধানসভা নির্বাচনে এবার রাজ্যের মসনদ দখল পাখির চোখ বিজেপির। তাই ব্রিগেডে মোদী কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা। ব্রিগেড থেকেই নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দেবেন মোদী (Modi)। মনে করছেন বিজেপি নেতা-কর্মী থেকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও।