`পুলিসকে ঘুষ দিতে আমরাও তৈরি`, ট্যাংরা `অপহরণ` কাণ্ডে হাতে টাকা নিয়ে বিক্ষোভে মহিলারা
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস দাবি করেছে যে, দুর্ঘটনা ঘটলেও মহিলাকে জোর করে গাড়িতে তোলার তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "আমরাও পুলিসকে ঘুষ দিতে তৈরি। মিথ্যা বলা বন্ধ করুক পুলিস।" এই দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ট্যাংরার মহিলারা। হাতে টাকা নিয়ে থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই গোবিন্দ খটিক রোডে রাস্তায় বসে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্তের থেকে ঘুষ নিয়েছে পুলিস। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এই অভিযোগে পথ অবরোধ করলেন ট্যাংরার মহিলারা।
ট্যাংরার ঘটনায় আরও গড়াল জল। ট্যাংরায় গৃহবধূকে অপহরণের অভিযোগ ও তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে শ্বশুরের মৃত্যুর ঘটনায় এবার নয়া মোড়। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস দাবি করেছে যে, দুর্ঘটনা ঘটলেও মহিলাকে জোর করে গাড়িতে তোলার তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনায় আরও তথ্য ও বয়ান সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিস সূত্রে আরও খবর, ওই মহিলা পুলিসকে ভুয়ো অভিযোগ করে থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই এবার পুলিসের সঙ্গে প্রামাণিক পরিবারের সংঘাত বাঁধল। গোপাল প্রামাণিকের পরিবারের দাবি, যেভাবে রক্তাক্ত এবং অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোপাল প্রামাণিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাতে তাঁর পক্ষে পুলিসের সামনে কিছু বলা বা তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কার্যত অসম্ভব। তাহলে কীসের ভিত্তিতে সেই বয়ানের উপর ভিত্তি করে পুলিস জানাল যে, প্রিয়ঙ্কা প্রামাণিকের হাত ধরে টানাটানি বা অপহরণের চেষ্টা হয়নি? কীসের ভিত্তিতে পুলিস সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল যে তিনি মিথ্যা বলছেন?
অভিযোগকারিণী প্রিয়ঙ্কা প্রামাণিক দাবি করেছেন, তিনি সাধারণ পরিবারের গৃহবধূ । তাঁর পক্ষে নিজের মানসম্মান বাজি রেখে এরকম একটা মনগড়া অভিযোগ করা অসম্ভব। কীসের ভিত্তিতে পুলিস অভিযোগকারিণীকেই মিথ্যাবাদী বানিয়ে দিল? তাতে ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার।
আরও পড়ুন, বেগড়বাই করলেই শোভনের প্যান্ডোরার বাক্স খুলবে, বুঝিয়ে দিল দিল্লি: সূত্র
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক রোডে অ্যাম্বুল্যান্স করে গৃহবধূকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। রাতের শহরে গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয় শ্বশুরের। সেই ঘটনা নিয়েই শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। কী ঘটেছিল সেদিন? তাই নিয়েই ধন্দে পুলিস। যুযুধান পুলিস ও প্রামাণিক পরিবার দুপক্ষ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অবশ্য অ্যাম্বুল্যান্স চালক আবদুল জামাল ও গাড়িতে থাকা তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।