শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডেঙ্গি কার্যত মহামারীর আকার নিলেও হেলদোল নেই পুরসভা বা প্রশাসনের। সংবাদ সম্প্রচারের ২ দিন পরেও পরিচ্ছন্নতার ছবিটা এতটুকু বদলালো না মেটিয়াবুরুজে। কলকাতার পুরসভার ১৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকায় একই পরিবারের ১৬ জনের ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর শনিবারই সম্প্রচার করেছিল ২৪ ঘণ্টা। তার পরও হেলদোল নেই স্থানীয় কাউন্সিলর বা প্রশাসনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আইন বাঁচাতে এলাকায় কীটনাশক ছড়ানো হয়েছে বলে কাগজে সই করানো হলেও শেষ পর্যন্ত ছড়ানো হয়নি কীটনাশক। এদিন হেলথ অফিসার ওই এলাকায় গেলে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে কার্যত পিছু হঠতে বাধ্য হন তিনি। 


মঙ্গলবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, পলি পড়ে আটকে গিয়েছে নর্দমা। তার জেরেই বিভিন্ন জায়গায় জমছে জল। তাতে কিলবিল করছে মশার লার্ভা। এলাকাবাসীদের দাবি, সোমবার রাতেও এক ব্যক্তিকে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। অভিযোগ, এলাকা পরিচ্ছন্ন করতে উদ্যোগ নেন না স্থানীয় কাউন্সিলর তফসিনা বেগম বা বিধায়ক আবদুল খালেক মোল্লা। সাফাইয়ের কার্যত কোনও কাজই হয় না। সেই সুযোগে ক্রমশ বাড়ে মশার আঁতুড়। 


আরও পড়ুন - পঞ্চায়েত নির্বাচন আগে জেলায় জেলায় গরু বিলি করবে রাজ্য সরকার


বিধায়ক আবদুল খালেক মোল্লার দাবি, ওই এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১। প্রথমে বিধায়কের সুরে সুর মেলালেও এলাকায় পৌঁছতেই পরিস্থিতি টের পেলেন স্থানীয় হেলথ অফিসার। হেলথ অফিসারকে দেখে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছাড়েন হেলথ অফিসার। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রশাসন যত কথা বলছে, কাজ তত হচ্ছে কই?