নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় লকডাউনের জের। এই প্রথম স্কাইপে মামলার সওয়াল জবাব চলল হাইকোর্টে। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে কীভাবে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া সম্ভব, সেই বিষয়ে মামলা শুনলেন প্রধান বিচারপতি ও দীপঙ্কর দত্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দুই বিচারপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



প্রসঙ্গত, লকডাউনের জেরে স্তব্ধ রাজ্য। থমকে পড়েছিল বিচারব্যবস্থাও। কেননা সময়মতো হাইকোর্টে পৌঁছাতে পারছিলেন না আইনজীবীরা। এমনকি যেতে পারছিলেন না মামলাকারীরাও। তাই বিশ্বজুড়ে এই উদ্ভূত সমস্যার মধ্যেও যাতে কোনওভাবে বিচারব্যবস্থা বিঘ্নিত না হওয়ায়, তাই অভিনব পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের। এই প্রথম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোটা মামলাটি শুনলেন প্রধান বিচারপতি।


লকডাউনের জের: আজ থেকে শুরু রাজ্যের দুঃস্থ পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে রেশন বিলি


প্রসঙ্গত. সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আন্দামানের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছচ্ছে না বলে একটি মামলা দায়ের করেন সেখানকার এক ব্যক্তি। এদিন এই মামলার শুনানি ছিল। ওই ব্যক্তির আইনজীবী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে স্কাইপে এদিন হাইকোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইনজীবী ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন দিল্লি থেকে। অন্যদিকে, তাঁর সহযোগী আইনজীবী যোগ দেন গোয়া থেকে।


এটি ছাড়াও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও জয়মাল্য বাগচি আরও ছটি মামলা শোনেন স্কাইপে। বিচারপতি আইপি মুখার্জি শোনেও আরও চারটি মামলা। মোটের ওপর এদিন সকাল দশটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত হাইকোর্টে ১০টি মামলার শুনানি হয় স্কাইপে। তবে এদিনের শুনানির মাধ্যমে বিচারপতিরা আইনজীবীদেরও বিশেষ এক বার্তা  দিলেন। মাঝেমধ্যেই আইনজীবীদের একাংশ কর্মবিরতি পালন করেন। সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে যান মামলাকারীরা। এবার সেই অবস্থাতেও যে বিচারপ্রক্রিয়া চলবে, তা পক্ষান্তরে বুঝিয়ে দিলেন বিচারপতিরা।