নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনে দিল্লির যমুনার জল স্বচ্ছ হয়ে গিয়েছে। গঙ্গাও কি তবে তার দূষণের চরিত্র বদলাচ্ছে? জানা যাচ্ছে, গঙ্গার জলের গুণগত মান প্রায় পানীয় জলের গুণগত মানের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে সামনে এসেছে চমকে যাওয়ার মতো এই তথ্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রাথমিক ভৌত রাসয়নিক রিপোর্টে  বিশেষজ্ঞদের দাবি, সাধারণত পানীয় জলের ph মাত্রা ৬.৫ থেকে ৮.৫ হওয়া উচিৎ।  এই মুহূর্তে গঙ্গার সহনশীল ph মাত্রা ৭.৯। বর্তমানে জলে দ্রবীভূত পদার্থ কণার মাত্রা ৪০০-র কাছাকাছি। লকডাউনের আগে যা ১১০০ থাকত। পানীয় জলের ক্লোরাইডের সহনশীল মাত্রা ০.২৫ পিপিটি। সেখানে গঙ্গার পিপিটি এখন ০.১৮। 


সেইসঙ্গে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণও যথেষ্ট বেশি। অন্য সময় যার পরিমাণ থাকে ২.৫-৩.২ মিলিগ্রাম / লিটার।  সেটাই এখন বেড়ে হয়েছে ৭.৫ মিলিগ্রাম/ লিটার।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গঙ্গার জলে অন্তত ৫ মিলিগ্রাম/ লিটার অক্সিজেন থাকা উচিৎ।  সেই পরিমাণ এখন আরও প্রায় ২-২.৫ মিলিগ্রাম/লিটার বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় গঙ্গার জল ঘোলা। সেই ঘোলাটে হওয়ার প্রবণতা ৫ পর্যন্ত হলে জল খাওয়া যায়। এখন সেটা নেমে দাঁড়িয়েছে ১-এ। 


পরিবেশকর্মী সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, লকডাউনে কারখানা বন্ধ। তাই জলে এসে মিশছে না রাসায়নিক। উপরন্তু ফুল, বেলপাতা সহ পুজোর অন্যান্য সামগ্রী জলে না পড়ায় গঙ্গার স্বাস্থ্য ভালো হয়েছে। তবে এর মানেই যে গঙ্গার জল খাওয়া যাবে এমন নয়।


সুদীপ্তবাবু জানান, গঙ্গার জলে প্রায় ৫০ হাজার ব্যকটেরিয়া থাকে। যেগুলি পেটের জন্য খুব ক্ষতিকর। জলের প্রাথমিক পরীক্ষায় সেগুলি ধরা পড়ে না। তাই কখনওই গঙ্গার জল খাওয়া যাবে না। তবে গঙ্গা শুদ্ধ হলে পরিবেশের স্বাস্থ্য যে উন্নত হবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।


আরও পড়ুন,'অনেক চটের ব্যাগ দরকার', জুটমিলগুলো অবিলম্বে চালু করতে রাজ্য়কে চিঠি কেন্দ্রের