নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার আতঙ্কের মাঝেই কোটি টাকার বাজি বিক্রি করে খুশি বিক্রেতারা। রবিবার রাতে মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে আলো নিভিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি, মোবাইলের আলো জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে তুমুল বাজি পোড়ানোও শুরু হয়ে যায়। যা দেখে দীপাবলি, কালীপুজোর সঙ্গে তুলনা করেন অনেকেই। এই নিয়ে নিন্দার ঝড়ও বয়ে যায়। এদিকে লকডাউনের মধ্যে বাজি পোড়ানোয় কিছুটা হলেও আয়ের মুখ দেখেছেন বাজি বিক্রেতারা। আর তাতেই তাঁরা খুশি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁদের কথায়, 'আলো জ্বেলে নয় আতস বাজিতে জীবাণু মারা সম্ভব।' আখেরে এই মন্দার বাজারে আতস বাজি বিক্রি করতে পেরে অনেকটাই লাভ করতে পেরেছেন রাজ্যের বাজি বিক্রেতারা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বাজি বিক্রেতারা বসলেন কোথায়? বাজি বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা বাবলা বাবুর কথায়, "লোকেরা আগাম প্ল্যান কষেছিল। এলাকার চেনা আতসবাজি ব্যবসায়ীদের বলে ঘরে বসেই বাজির অর্ডার দেওয়া হয়।" তবে শহর কলকাতার তুলনায় শহরতলিতেই বেশি বাজি পুড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


ঠিক কত টাকার বাজি পোড়ানো হয়েছে? বাবলা বাবু জানিয়েছেন, "মাত্র ৯-১০ মিনিটে গোটা রাজ্যে ৬ কোটি টাকার বাজি পুড়েছে।" স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের গলায় খুশির রেশ। অন্যদিকে বাজির শব্দ আর ধোঁয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের বক্তব্য, লকডাউনে কিছুটা পরিবেশের হাল ফিরেছিল, কিন্তু কালকে যা দাপট চলেছে তাতে দূষণ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। পরিবেশকর্মী এস এম ঘোষ বলেন, "যে কোনও জিনিস পোড়ালেই দূষণ হবে। তবে ভালো এটা মাত্র ১০ মিনিট ছিল।" 


উল্লেখ্য, WHO-এর নিয়ম অনুযায়ী বাতাসে প্রলম্বিত শ্বাসযোগ্য সূক্ষ্ম ধূলিকণা ২৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিৎ নয়। সেটাই রবিবার রাতে ৬ গুণ বেড়ে গিয়েছিল। আমেরিকান কনস্যুলেট জেনারেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার রাত ১০টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ১৫৬, যা চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর। 


আরও পড়ুন,  'মহাদেব শিব এসেছেন!' করোনা তাড়াতে কুসংস্কারে ভর করে 'শিল-নোড়া পুজো', দশগুণ বাড়িয়ে দিল আতঙ্ক