নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কসবায় এসভিএফ-এর অফিস থেকেই শ্রীকান্ত মোহতাকে সিজিও কমপ্লেক্সে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন দুপুরে এসভিএফ কর্ণধারকে নিয়ে ভুবনেশ্বর উড়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী অফিসাররা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্রীকান্ত মোহতার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলে গিয়ে প্রথমেই টলিউডে সিন্ডিকেটরাজের উল্লেখ করেন অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বলেন, "টলি পাড়ায় সিন্ডিকেটের প্রথম উইকটেটা পড়ল।"  শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধারের উদ্দেশে তোপ দাগেন অভিনেত্রী। বলেন, "শিল্পীদের বাধ্য করেছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আসতে। রাজনৈতিক প্রভাব না মানলে, কাজ পাবে না। প্রত্যেক মুহূর্তে তিনি প্রভাব খাটাতেন। অন্যান্য প্রযোজকরা এজন্য বিরক্ত ছিল। অন্যরা ভালো ছবি করলে পরও, ডিস্ট্রিবিউশনের সময় তার উপর খবরদারি করত।"


বিজেপি নেত্রী দাবি করেন, "যে কোনও শিল্পী মনে করবে আমরা মুক্তি পেয়েছি।" প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নাম না করে রুদ্রনীল ঘোষকেও কটাক্ষ করেন লকেট চ্যাটার্জি। বলেন, "আজকে যে শিল্পীরা তৃণমূলের হয়ে বলছেন, তাঁরাই এক সময় সিপিএম-এ ছিলেন।" টলিপাড়ায় 'কান পাতলে' অনেকের আরও অনেক 'গোপন কীর্তির' কথা শুনতে পাওয়া যাবে বলেও মন্তব্য করেন অভিনেত্রী।


পাশাপাশি বলেন, "অনেকেই কাল শান্তিতে ঘুমিয়েছে। যারা এতদিন কী পরিস্থিতিতে ছিল, তাঁরাই জানে। সিন্ডিকেটরাজ চলছে টলিউডে।" প্রসঙ্গত, রোজভ্যালিকাণ্ডে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস কর্ণধারকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও, সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ড কোম্পানিরও ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে তিনি সদর্থক ভূমিকা নেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, চিটফান্ড ব্যানিং অ্যাক্ট সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।


অভিযোগ, রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে ২৪ কোটির চুক্তি হয়েছিল শ্রীকান্ত মোহতার। চুক্তি অনুযায়ী,রোজভ্যালির হয়ে বেশ কয়েকটি ফিল্ম তৈরির কথা ছিল মোহতার। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী কোনও ফিল্মই শুটিং ফ্লোরে যায়নি। চিটফান্ড ব্যবসায় গৌতম কুণ্ডুকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন মোহতা। ব্যবসা বাড়াতে প্রভাবশালীদের সঙ্গে রোজভ্যালি কর্তার পরিচয় করানোরও প্রতিশ্রুতি দেন। সিবিআই জেরায় এসবই জানান রোজভ্যালি কর্তা। শ্রীকান্ত মোহতাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি এসভিএফ কর্ণধার।


আরও পড়ুন, চূড়ান্ত গাফিলতি,অতিরিক্ত বিদ্যুত সরবরাহেই আগুন গড়িয়াহাটের বহুতলে,উল্লেখ ফরেন্সিক রিপোর্টে


পাশাপাশি, সারদাকাণ্ডেও নাম জড়ায় অত্যন্ত প্রভাবশালী এই প্রযোজকের। সারদার একাধিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রভাবশালীদের হাজির থাকতে দেখা যায়। এমন বহু অনুষ্ঠানের মধ্যস্থতাকারী ছিলেন শ্রীকান্ত মোহতা। অভিযোগ, শুধু মধ্যস্থতা করার জন্যই সুদীপ্ত সেনের কাছে কোটি কোটি টাকা আদায় করে নেন মোহতা। সারদার থেকে পাওয়া সেই টাকা কোথায় গেল? কার নির্দেশ এসব অনুষ্ঠানে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করেন তিনি? মোহতার কাছে এসব উত্তর জানতে চায় সিবিআই। এক্ষেত্রেও,সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি শ্রী ভেঙ্কটেশ কর্তা। আর তারপরই গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই।