নিজস্ব প্রতিবেদন: সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রত্যাশিতভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় ভোটের রাজনীতি দেখছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) কথায়,'প্রায়শ্চিত্ত করার সময় ওঁর নেই। ভোটের পর তো তৃণমূল থাকবে না।' ভাঁওতাবাজি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, মন্তব্য হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee)।                    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) ঘোষণা করেন,'সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করছি। সেখানকার ফসল সুজলা, সুফলা। ১১ একর জমির উপরে পার্ক তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্রশিল্প উন্নয়ন নিগম। সিঙ্গুর রেলস্টেশনের কাছে জমি ঘেরা শুরু হয়ে গিয়েছে।' এই সিঙ্গুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়। টাটার ন্যানো প্রকল্পে  কৃষি আন্দোলনে ভর করেই রাইটার্সে পা রেখেছিলেন। সেই সিঙ্গুরে ভোটের কয়েক মাস আগে মমতার শিল্প-ঘোষণায় প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়,'মুখ্যমন্ত্রী আবোল-তাবোল কথা বলেন। সর্ষে ছড়িয়েছিলেন ফল হয়েছিল ধান। না হল শিল্প না হল চাষ। এখন ওই জমি কেনাবেচায় নেমে পড়েছেন তৃণমূলের নেতারা। ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করান। প্রায়শ্চিত্ত করার সময় ওঁর নেই। ভোটের পর তো তৃণমূল থাকবে না। ১০ বছর কোথায় ছিলেন? বাংলার সর্বনাশ করেছেন। শিল্পের বারোটা বাজিয়েছেন। মানুষ বুঝে গিয়েছেন সবটা।'


গত লোকসভা ভোটে হুগলিতে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে সিঙ্গুরে শিল্প করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। এ দিন বিজেপি সাংসদ বলেন,'আমরা সবাই জানি, কীভাবে সিঙ্গুরের কৃষকদের ঠকানো হয়েছিল! ৯৫ শতাংশ কাজ হওয়ার পর টাটাকে টাটা বাই বাই করেছিল। ওই জমিতে শিল্প বা কৃষি কিছুই হয়নি। ভোটের দোরগাড়ায় ভাঁওতাবাজি দিচ্ছে সরকার। ৩ মাস বাদে নির্বাচনী বিধি কার্যকর হবে। শিল্প করার সময় কোথায়?' 


আরও পড়ুন- Visva Bharati-তে CM-কে আমন্ত্রণ-চিঠি প্রকাশ BJP-র, 'ভাই কবে ডাকল? কখন ডাকল?: Mamata