নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার ঝড় উঠেছিল রাজ্য বিজেপির চিন্তন বৈঠকে। সেই বৈঠকে দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন বেসুরোরা। রাজ্য বিধানসভায় দলের শোচনীয় ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পর ২ দিন কাটতে না কাটতেই দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের বৈঠকে হাজির লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। ওই বৈঠকে ছিলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতেশ তিওয়ারি, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদাররা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির চিন্তন বৈঠকে দলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব হয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর বক্তব্য ছিল কোটার ভিত্তিতে নেতা বেছেই দলের এই শোচনীয় ফল। এছড়াও নেতৃত্ব সম্পর্কে বেশকিছু প্রশ্ন তুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দেন। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরের অধিকাংশ নেতা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


বিক্ষুব্ধ শিবিরের দাবি, এইভাবেই বেশকিছু  বৈঠক তারা চালিয়ে যাবেন। দলের অনেক নেতা রয়েছেন যারা দলের নেতৃত্বের উপরে বিরক্ত। তারাও তাদের শিবিরে যোগ দেবেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তারা ইতিমধ্যেই কয়েকটি বৈঠক করেছেন। আরও বৈঠক হবে। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির পাল্টা একটি কমিটি তৈরির কথা ভাবছেন তারা। সেই কমিটির কথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানোও হবে। তাদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার তা তারা নেবেন। যারা প্রথম থেকেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে চলেছেন তারা এইসব বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছেন। তাদের একটি তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। ওই তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন বিধায়ক।


দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের ওই বৈঠক 'গোপন' হলেও সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি প্রকাশিত হয়েছে। এনিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে দল।  এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এনিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন তিনি। এর আগে দিল্লি গিয়ে জেপি নাড্ডা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন বিক্ষুব্ধরা। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের শেষে এবার তারা ফের সেই চেষ্টা করতে চান বলে খবর।


রাজ্য বিজেপি নেতাদের ওই বৈঠক নিয়ে তথাগত রায় বলেন, বিজেপির সংগঠনের ভেতরে যে পচন ধরেছিল তার কারণ ছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে কামিনী-কাঞ্চনের রাজনীতি ও বেনোজল নিয়ে জলকেলি। সেই পচনেরই প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। সংগঠনটাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সুকান্ত মজুমদার নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন না। উনি এখনও দলের সভাপতি থাকতে পারেন। তাতে কোনও আপত্তির কারণ থাকতে পারে না। নির্বাচনে দলকে যারা কু-পরিচালনা করেছিল তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।


আরও পড়ুন-Bengal BJP: চিন্তন বৈঠকেই অনুপস্থিত শুভেন্দু, কোটায় নেতা বেছেই দলের এই হাল, ক্ষোভ নেতাদের


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)