নিজস্ব প্রতিবেদন: বামেদের সঙ্গে সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ার পর আরও এক দফা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের চারটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দলে যোগ দিয়েই প্রার্থী হলেন এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। মাঝে অবশ্য গেরুয়া শিবিরেও ছিলেন। কংগ্রেসের টিকিটে তমুলক কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা উত্তরে প্রার্থী হয়েছেন সইদ শাহিদ ইমাম। ঘাটালের কংগ্রেস প্রার্থী খন্দকার মহম্মদ সইফুল্লা। বিশ্বরূপ মণ্ডল প্রার্থী হয়েছেন আসানসোলে। 



লোকসভা ভোটের আগে গত বিধানসভার মতো সমঝোতার অঙ্ক কষেছিল বাম-কংগ্রেস। কিন্তু এবার প্রথম থেকেই দর কষাকষির জেরে ভেস্তে যায় সমঝোতা-সূত্র। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে রাজ্যে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ জিতেছিল সিপিএম। ওই দুটি আসনই চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু জেতা আসন ছাড়তে নারাজ সিপিএম। সে যাত্রায় রাহুল গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরির হস্তক্ষেপে সমাধানসূত্র মেলে। তারপরে বসিরহাট ও পুরুলিয়া-দুটি আসন নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। ওই দুটি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে চাইছিল না ফ্রন্ট শরিক। ওই দুটি আসন শরিকদের দিয়েই প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে আলিমুদ্দিন। আর তাতে ক্ষোভ বাড়ে কংগ্রেসের। গতবার সিপিএমের জেতা আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় রাহুল গান্ধীর দল।




কংগ্রেস ও বামেদের জোট না হওয়ায় রাজ্যের কিয়দংশ আসনেই এবার চতুর্মুখী লড়াই। দক্ষিণবঙ্গে কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে এখনও কংগ্রেস ফ্যাক্টর। রাজনৈতিক পণ্ডিতদের মতে, উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ ও উত্তর মালদহের মতো আসনে কংগ্রেস ভালরকম ভোট কাটতে পারে। আর তার লাভ তুলতে পারে বিজেপি।  


আরও পড়ুন- তথ্য গোপন করে PAN কার্ড তৈরির অভিযোগ, অভিষেকের স্ত্রীকে নোটিস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের